দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণের গতি অনেকটাই নিম্নমুখী ছিল। ৪৫ হাজারের নিচে নেমে গিয়েছিল সংক্রমণ। কিন্তু, গত কয়েকদিনে সংক্রমণের গতি ফের ঊর্ধ্বমুখী। বৃহস্পতিবার করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৪ হাজার ৬৯। তবে শুক্রবার সংক্রমিতের পরিমাণ কিছুটা কম রয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৬৬৭ জন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৪৫।
শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩২৯ জনের। এর ফলে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩১০।
অ্যাক্টিভ কেস, অর্থাৎ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা এখন ৭ লক্ষের নিচে রয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ১২ হাজার ৮৬৮। মাসখানেক আগেই এই সংখ্যাটা ছিল ৩৭ লক্ষের উপরে।
আরও পড়ুন- কোভিডে বন্ধ ২৪৫ বছরের মহিষাদলের রথ, তবে রীতি মেনেই মাসির বাড়ি যাবেন জগন্নাথদেব
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৪ হাজার ৫২৭ জন। ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯১ লক্ষ ২৮ হাজার ২৬৭ জন। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বা আইসিএমআরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ১৭ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৮১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ এর জন্য ৩৯ কোটি ৯৫ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
আরও পড়ুন- "পড়ুয়াদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে, স্কুল খুলতে পদক্ষেপ করুক সরকার", বললেন এইমস প্রধান
তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের গতি নিম্নমুখী হলেও এখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই ঢেউ দেশে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। আর সেই কারণে যতটা দ্রুত সম্ভব দেশবাসীর টিকাকরণ সম্পন্ন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৩০ কোটি ৭৯ লক্ষ ৪৮ হাজার ৭৪৪ জনের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে করোনার এক নতুন প্রজাতি ডেল্টা প্লাসের হদিশ পেয়েছেন গবেষকরা। এই প্রজাতির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে। এদিকে এই মুহূর্তে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করোনার সংক্রমণ কম থাকায় শুরু হয়েছে আনলক প্রক্রিয়া। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিশ্বের মধ্যে করোনা সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।