
ভারতের ৫টি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান, এমন দাবি করেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি পার্লামেন্টে বলেছেন, ‘তাঁর দেশের সেনাবাহিনী ভারতের পাঁচটি রাফাল বিমান গুলি করে মাটিয়ে নামিয়ে দিয়ে পেরেছে।’ একটি নামানো হয়েছে ভারতের বাথিন্ডায়।
এরপরই এই মন্তব্য ভাইরাল হয় সারা বিশ্বে। এই কথার সত্যতা জানতে উঠে পড়ে লাগেন সকলে। এরপর অধিকাংশ দাবি করেন, শরিফের এই বক্তব্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর প্রতিধ্বনি। তবে, ভারত এই বিষয় কোনও মন্তব্য করেনি। যদিও পরে জানা যায়, এই দাবি সত্য নয়। এমন দাবি করেছে, পিআইবি অর্থাৎ প্রেস ইনফরমেনশন ব্যুরো।
সত্য ঘটনা হল- পাকিস্তান ও পকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালিয়েছে ভারত। বেছে বেছে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলো উড়িয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে জৈশ লস্কর, হিজবুল মুজাহিদিনের ডেরায় হামলা চালিয়েছে ভারত। বড় রকমের ক্ষেপনাস্ত্র ফেলা হয় ভাওয়ালপুর মুরিদকে অঞ্চসে। যেখানে প্রাথমিক ভাবে ২৫ থেকে ৩০ জঙ্গি মারা গিয়েছে। মাত্র ২৫ মিনিটে ভারত এই হামলা চালায়। এই হামলা হয় মোট নয়টি জায়গায়। তবে, ভারত নিজেদের আক্রমণে খুবই সংযম দেখিয়েছে। সাধারণ মানুষের বসবাসের কোনও জায়গায় তারা আক্রমণ করেনি।
এদিকে স্যাটেলাইটে ধরা পড়ল অপারেশন সিঁদুর-র প্রভাবে পাকিস্তানে কী অবস্থা হয়েছে তার দৃশ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ভিডিও। যেখানে বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে গম্বুজের ছবি দেখা যাচ্ছে। আর সেই গম্বুজের ছিদ্র স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে স্যাটেলাইট থেকেও। বাহাওয়ালপুর ও মুরিদক মূলক জৈশ ই মোহাম্মদ (জেইএম) এবং লস্কর ই তৈয়বা (এলইচি)-র কার্য পরিচালনার জন্য পরিচিত। ভারতীয় সেনার ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রে যে ধ্বংস হয়েছে সেই সকল এলাকা।
ভাইরাল হওয়া ছবি বলছে, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বাহাওয়ালপুরের সুবহাম আল্লাহ মসজিরে গম্বুজে ছিদ্র করেছে। সেই স্থান জৈশ ই মোহাম্মদের কাজের সঙ্গে যুক্ত। অপর ছবি মুরিদকেতে। স্যাটেলাইটের ছবিতে লস্কর ই তৈয়বার একটি স্থাপনা সম্পূর্ণ ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে। সরকারি সূত্রে খবর, নিষিদ্ধ সংগঠন জেইএম, এলইটি, হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে যুক্ত ৮০ জনেরও বেশি জঙ্গি এদিন নিহিত হন।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ঘটেছিল সেই ভয়ানক ঘটনা। ঘটনাটি ঘটে পেহলগাঁও-র বৈসরন উপত্যকায়। যা মিনি সুইৎজারল্যান্ড নামে খ্যাত। সেদিন পর্যটকদের রক্ত লাল হয়ে যায় মিনি সুইৎজারল্যান্ড। যেদিন দুপুরে জঙ্গিদের গুলিতে প্রয়াত হন ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যক্ষদর্শী ও বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বলেছিলেন যে, ‘জঙ্গিরা ধর্ম জেনে হত্যা করা হয়। বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের হত্যা করেছে।’ এই পেহলগাঁও কাণ্ডে লস্কর ই তৈবা-র ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট দায়ি বলে অভিযোগ ওঠে।
https://youtube.com/shorts/LxFx8EW-kP8?si=QAGVHi_mBU8DtvMH