জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। সীমান্তেই নয়। পাকিস্তানের বর্বর হামলার জবাব কূটনৈতিকভাবেও দেওয়া হবে। আর এই মর্মে কথা বলার জন্য পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূরের অফিসের কূটনৈতিককে তলব করা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে, ভারত কঠোরভাবে পাক বাহিনার দ্বারা সীমান্তে সাধারণ ভারতীয় নাগরিকদের টার্গেট করার নিন্দা করছে। পাকিস্তান ভারতকে উস্কে দেওয়ার জন্য একটি উৎসবের সময়কেই বেছে নিয়েছিল। যার পরিণতি অত্যান্ত শোচনীয় এবং জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণ সীমান্ত এলাকায় শান্তি নষ্ট করা হয়েছে, বলেও দাবি করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে।
শনিবার ভারত সমন পাঠানের পর রবিবার অর্থাৎ এদিনই পাকিস্তানের হাইকমিশন চার্ড ডি'অ্যাফেয়ার্সকে তলব করা হয়েছে। পাক সূত্রের খবর তারা ভারতের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলবে। পাশাপাশি বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের কারনে ভারতের চার সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও পাকিস্তানের হামলায় ভারতের পাঁচ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে সন্ত্রাসবাদী অনুপ্রবেশ কখনও বরদাস্ত করা হয়েছে। পাকিস্তান অনুপ্রবেশকারীদের সাহায্য করছে বলেও দাবি করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। শুক্রবারই সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারত। ভারতের পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের ৬-৭ সেনা কর্মী নিহত হয়েছে। ১০-১২ জন আহত হয়েছে বলেই সেনা সূত্রের খবর।
৪-এর বদলা ৮, ভারতীয় সেনার ক্ষেপণাস্ত্রে উড়ে গেল পাক সেনার বাঙ্কার ...
পাক-গুলিতে মাথা এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে গেল বিএসএফ জওয়ানের, দেখে নিন সিজফায়ারের ভিডিও ...
শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের উরি, কেরান, গুরেজ সেক্টর। বিস্তীর্ণ এলাকায় জুড়ে সিজফায়ার চালায় পাকিস্তান। ভারতের অভিযোগ জঙ্গি অনুপ্রেবেশে সাহায্য করার জন্যই সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে গুলি আর গোলা চালিয়েছিল পাক সেনা। পাল্টা ভারতীয় সেনাও মিসাইল ছোঁড়ে। উড়িয়ে দেয় পাক সেনার বাঙ্গার। বেশ কয়েকটি গোলা-বারুদ সংগ্রহকেন্দ্রও উড়িয়ে দেয়। ভারতীয় সেনা বাহিনীর দেওয়া জবাবে রীতিমত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাক জঙ্গদের কয়েকটি লঞ্চপ্যাড।