সেনাদের মাঝে মোদী মুখেই ফাটালেন তুবড়ি-রংমশাল, লজ্জার অন্ধকারে ঢাকল পাকিস্তান

কথাতেই যেন ফাটল তুবড়ি, জ্বলল রংমশাল

৭১'এর যুদ্ধের কথা তুলে চরম বিদ্রুপ পাকিস্তানকে

সেনাদের মাঝে দীপাবলি কাটালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

একদিন আগেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান

amartya lahiri | Published : Nov 14, 2020 8:08 AM IST / Updated: Nov 15 2020, 08:34 PM IST

দীপাবলির ঠিক আগের রাতেই বিনা প্ররোচনায় ,সীমান্তের ওই পার থেকে কুৎসিৎ আক্রমণ চালিয়েছে পাক রেঞ্জাররা। তার পরদিনই শনিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজস্থানের জয়সালমারের লঙ্গওয়ালা সেনা ঘাঁটিতে দীপাবলি উদযাপন করতে গিয়ে একাত্তরের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন পাকিস্তানকে। এদিন কোনও রাখঢাক না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন ১৯৭১-এর যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনী, পাক সেনাবাহিনীর অত্যাচারী রূপটা প্রকাশ করে দিয়েছিল।

১৯৭১-এর যুদ্ধের সময় লঙ্গওয়ালা সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালাতে গিয়ে একেবারে পর্যুদস্ত হয়েছিল পাক সেনা। এদিন ঘাঁটির সেই ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সময় পাকি সেনাবাহিনী বাংলাদেশী নাগরিকদের উপর চরম অত্যাচার চালাচ্ছিল। নির্বিচারে হত্যা, নারী ও শিশুদের উপর অমানবিক অত্যাচার চলছিল।পাক সেনাবাহিনীর এই অত্যাচারী রূপ ফাঁস করে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। বিশ্বকে সেই সত্য থেকে বিভ্রান্ত করতে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু তারা জানত না যে ব্রিগেডিয়ার কুলদীপ সিং চাঁদপুরীর মতো সাহসী ভারতীয় সেনা নায়করা তাদের উপযুক্ত জবাব দিতে তৈরি হয়ে ছিল। ব্রিগেডিয়ার কুলদীপ সিং চাঁদপুরীকে 'রাষ্ট্র দীপ' বলে সম্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রীর পদে বসার পর থেকে প্রত্যেক বছরই দীপাবলির দিনটি নিরাপততা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কাটাতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। সেই ঐতিহ্য ধরে রেখে এদিন লঙ্গওয়ালায় পৌঁছে মোদী জওয়ানদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'আপনারা তুষার-ঢাকা পাহাড়ে বা মরুভূমিতে যেখানেই থাকুন না কেন, আপনার মাঝে আসলে তবেই আমার দীপাবলি উদযাপন সম্পূর্ণ হয়। আপনাদের মুখে আনন্দ দেখলে আমার আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়।' এদিন প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও লঙ্গওয়াল ঘাঁটিতে সেনাদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করছেন, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে, বিএসএফ-এর ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা প্রমুখ।

এর একদিন আগেই পাক সেনাবাহিনী এলওসি বরাবর চারটি পৃথক স্থানে সেনা ঘাঁটি ও অসামরিক জনবসতি লক্ষ্য করে অবিরাম গোলাগুলি বর্ষণ করেছিল। পাকিস্তানের এই বর্বরোচিত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের উপযুক্ত জবাবও দিয়েছে ভারতীয় সেনা। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাল্টা জবাবে বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি বাঙ্কার ও সেনাঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে অন্তত ১১ জন পাক সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলেও সেনাসূত্রে দাবি করা হয়েছে।

 

Share this article
click me!