করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আইসিস জঙ্গি
ভর্তি রয়েছে দিল্লির হাসপাতালে
এনআই হেফাজতে থাকাকালীন আক্রান্ত
তদন্তকারীদের যেতে হল কোয়ারেন্টাইনে
আইসিস সন্দেহে ধৃত হিনা বসির বেগ করেনাভাইরাসে আক্রান্ত। তাকে ভর্তি করা হয়েছে দিল্লির হাসপাতাল। হিনা বেশ কিছুদিন ধরেই ছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছে এনআইএর হেফাজতে থাকার সময় থেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল সে।
মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে দিল্লির জামিয়া নগর থেকে হিনা ও তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। হিনার স্বামী জাহানজাইব সামি আইএসকেপির সক্রিয় সদস্য বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। তাদের বাড়ি শ্রীনগরে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে সামিল প্রতিবাদীদের মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল দম্পতিকে।
এনআইএ ভারতে ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকটি ষড়যন্ত্র সম্পর্কি বেশ কয়েকটি মামলার তদন্ত করছে। আইসিস-র অপর এক চাঁই মহম্মদ আব্দুলাহ বাসিতকে ২৯ মে তিহার জেল থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। বাসিত হায়দরাবাদে সক্রিয়। বেশ কয়েকজনকে নাশকতার কাজে মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। সূত্রের খবর বাসিতের সঙ্গেই হিনা ও তার স্বামীকে জেরা করাও হয়েছিল। প্রথম দিকে তিন জনের পরীক্ষাই করা হয়েছিল। কিন্তু তখন কেউই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না।
মমতার মুখে বঙ্গ আর দিলীপের মুখে পদ্ম, রাজ্যে কি শুরু হল 'মাস্ক রাজনীতি' ...
দরিদ্র রোগীকে বেঁধে রাখা হল হাসপাতালে, চরম অমানবিক নিদর্শন শিবরাজের রাজ্যে ...
মোদীর থালা বাজানোকেই হাতিয়ার করলেন রাবড়ি দেবী, তাও আবার তাঁরই সেনাপতির বিরুদ্ধে ...
প্রায় ৯ দিন এনআইএ হেফাজতে রয়েছে তারা। এনআইএ সদর দফতরেই তাদের জিজ্ঞাবাদ করা হয়। দফায় দফায় চলে জেরা। আর এই জেরা চলাকালীনই হিনা বেগের শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলি স্পষ্ট হতে থাকে। তারপরই ধৃত তিন জনেরই পরীক্ষা করা হয়। তখন জানা যায় করোনা আক্রান্ত হিনা। তার স্বামী ও বাসিতেরও পরীক্ষা হয়। জানা যায় তারা কেউই আক্রান্ত নয়।
হিনার আইনজীবী এমএস খান অবিলম্বে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন। প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে হিনার চিকিৎসা চলছে দিল্লির লোক নায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে। তবে এনআইএর পুরো দলটাকেই কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাস পরীক্ষারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক কর্তার কথায় গত সপ্তাহে পুলিশ সুপার সহ প্রায় ৭-৮ জন তদন্তকারী হিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। তবে কোথা থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে তা এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে।