'মানুষ-ঘেষা' হওয়ার মাশুল গুনল বাঘ, বাইরে থেকে আসায় থাকতে হচ্ছে কোয়ারেন্টাইনে

তাকে বারবার নিয়ে যাওয়া হয়েছে বনে জঙ্গলে

কিন্তু বারবারই সে ফিরে আসে জনবসতিতে

এবার তাকে নিয়ে আসা হল ভোপালের জাতীয় উদ্যানে

কিন্তু আপাতত রাখা হচ্ছে কোয়ারেন্টাইনে

 

amartya lahiri | Published : Jun 7, 2020 11:27 AM IST

এমন বাঘ সচরাচর দেখা যায় না। বারবার তাকে উদ্ধার করে বনে-জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসলেও ক'দিন পরে-পরেই সে ফিরে আসে জনবসতি এলাকায়। যেন মানুষের সঙ্গে থাকতেই সে ভালোবাসে। তবে এই প্রবণতার বেশ বড় রকমেরই মাশুল গুনতে হল তাকে। শনিবার তাকে ভোপালের বনবিহার জাতীয় উদ্যানে আনা হয়েছে। কিন্তু, বাইরে থেকে আসা, তাই তাকে আপাতত থাকতে হচ্ছে একেবারে একা একা, কোয়ারেন্টাইনে।

মদ্যপ্রদেশের বনবিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন এই বাঘটিকে তাঁরা গত দুই বছর ধরেই চেনেন, এমনকি বনের প্রাণী হলেও তার নামকরণও করা হয়েছে, 'সরণ'। সরণ কিন্তু আদতে প্রতিবেশী রাজ্য মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা।  সেখানেও সে আবাসিক এলাকায় ঢুকে পড়ত। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলায় দুই ব্যক্তিকে হত্যাও করেছিল।

তারপর, তাড়া খেয়ে মধ্যপ্রদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ঘুরে বেড়াত। ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর বেতুলের সরণি শহরের এক আবাসিক এলাকায় হানা দিয়েছিল সে। সেখান থেকেই তারকে প্রথমবার উদ্ধার করেছিল মধ্যপ্রদেশ বন দপ্তর। তারপর তাকে তার স্বাভাবিক প্রাকৃতিক আবাসে ফিরিয়ে দেওয়াও হয়েছিল। সাতপুরা টাইগার রিজার্ভের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তাকে।

তবে, সরণ-এর আবাসিক এলাকায় ঢুকে পড়ার অভ্যেস যায়নি। ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তাকে সেই সরণিরই আরও এক আবাসিক এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার ছাড়া হয়েছিল কানহা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টে। সেখান থেকেও পালাবার প্রবণতা দেখানোয়, শনিবার বাঘটিকে কানহা থেকে বনবিহার জাতীয় উদ্যানে আনা হয়েছে। বাইরে থেকে আসায় তার থেকে বনবিহার জাতীয় উদ্যানের বাকি ১৩টি বাঘের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কারণ সরণের কোভিড-১৯ টেস্ট হয়নি। তাই তাকে আপাতত একটি ঘেরা জায়গায় কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে।

 

Share this article
click me!