দীর্ঘ দিন ধরেই ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন পবন জয়সওয়াল। চিকিৎসার জন্য একটি ক্রাউন্ড ফান্ডিংয়ের আবেদনও করা হয়েছিল। পবন নিজেও টুইট করে যোগী আদিত্যনাথ, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও অখিলেশ যাদবের সাহায্য চেয়েছিলেন।
মনে আছে সেই সাংবাদিককে, যিনি যোগী রাজ্যে মিড-ডে মিলের খাবারের ছবি প্রকাশ করে ঝড় তুলেছিলেন গোটা দেশে। উত্তর প্রদেশে মিড-ডে মিলের খাবারে দেওয়া হয় নুন আর রুটি। আর শিশুরা সেই খাবরই খাচ্ছে। এই ছবি তুলেছিলেন আর প্রতিবেদন লিখেছিলেন। সেই সাংবাদিক পবন জয়সওয়াল প্রয়াত হয়েছেন। দূরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। উত্তর প্রদেশের এই সাংবাদিক চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যানাথেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে তিনি মারা যান।
দীর্ঘ দিন ধরেই ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন পবন জয়সওয়াল। চিকিৎসার জন্য একটি ক্রাউন্ড ফান্ডিংয়ের আবেদনও করা হয়েছিল। পবন নিজেও টুইট করে যোগী আদিত্যনাথ, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও অখিলেশ যাদবের সাহায্য চেয়েছিলেন। পবন একজন ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক হিসেবেই কাজ করতেন।
যাইহোক তবে তাঁর নুন-রুটির কাহিনি গোটা দেশ জানে। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিল রাজনৈতিক মহল। যোগী বিরোধীরা আক্রামণ করেছিলেন। তারপরই জয়সওয়ালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিরুদ্ধেও তিনি মুখ খুলেছিলেন। বলেছিলেন যেকেউ ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পারে। মিড-ডে মিলের অনিয়মের খবর বেশ কয়েকবার করেছেন তিনি। কখনও শিশুদের নুন রুটি কখনও আবার শিশুদের নুন-ভাত দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁকে স্কুলেরই একজন জানিয়েছিলেন মিড-ডে মিল নিয়ে তাঁর স্কুলে অনিয়ম চলচে। তিনি আরও জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে তিনি স্কুলে গিয়ে ভিডিও শ্যুট করেছিলেন।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন প্রথম ভিডিও শ্যুট করার পরই তিনি স্থানীয় সংবাদিকদের ডেকে জেলা শাসকের সঙ্গে কথা বলেছিবেন। ডিএম এই ঘটনার তদন্ত করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার করাকে তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবেও দেখেছেন।
এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়াও উত্তর প্রদেশ সরকারের তীব্র নিন্দা করেছিল। সাংবাদিকদের হয়রান না করার আবেদন জানান হয়েছিল। অন্যদিকে বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি তখন বলেছিলেন যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন উত্তর প্রদেশ সরকারের উচিৎ দূর্ণীতি ফাঁস করার জন্য পবন জয়সওয়ালকে ধন্যবাদ জানান।