মৃত্যুমিছিল বেড়ে ৩৪, সরিয়ে দেওয়া হল দিল্লি হিংসা মামলার বিচারপতিকেই

দিল্লি হিংসায়য় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৪

এদিকে এই হিংসা নিয়ে মামলার শুনানিতে থাকা বিচারককেই সরিয়ে দেওয়া হল

দিল্লি হাইকোর্ট থেকে বিচারপতি এস মুরলিধর-কে সরানো হল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে

বুধবারই তিনি দিল্লির হিংসা নিয়ে কেন্দ্র এবং দিল্লি পুলিশ-কে তুলোধোনা করেছিলেন

amartya lahiri | Published : Feb 27, 2020 5:01 AM IST / Updated: Feb 27 2020, 07:56 PM IST

বুধবারই দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলিধর দিল্লির হিংসা নিয়ে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় সরকার এবং দিল্লি পুলিশ-কে তুলোধোনা করেছিলেন। তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তাঁরকে বদলি করে দেওয়া হল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে। এদিকে দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় মৃত্যু মিছিল ক্রমে বেড়েই চলেছে। কাল রাত অবধি ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে, আরও ৭ জনের মৃত্যুতে, সংখ্যাটা ৩৪-এ গিয়ে পৌঁছেছে।

বুধবার, রাতেই বিচারপতি এস মুরলিধর-কে বদলি করার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, ভারতের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে-র সঙ্গে আলেচনা করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলিধর-কে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারক হিসাবে বদলি করছেন। বিচারপতি মুরালিধর-কে অবিলম্বে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে তাঁর কার্যালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন - '৫০০ জন মিলে ছিনিয়ে নিয়ে গেল', থামছে না আইবি অফিসার অঙ্কিত-এর মায়ের কান্না

বিচারপতি অনুপ জে ভম্ভনী-র সঙ্গে বিচারপতি এস মুরলিধর দিল্লির হিংসা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ছিলেন। তার মাঝেই বিচারপতি মুরলিধরকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে স্বাভাবিকাবেই সরকারের সমালোচনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী সরাসরি মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন। তবে মুরলিধরকে পঞ্জাব ও বরিয়ানা হাইকোর্টে বদলি করার প্রক্রিয়া আগেই শুরু হয়েছিল। গত ১২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম তাঁকে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টে সরানোর সুপারিশ করেছিল।

আরও পড়ুন - হোয়াটসঅ্যাপেই হয়েছিল দিল্লি হিংসা-র ছক, ফুটেজ ধরে ধরে চলছে 'বহিরাগত'দের খোঁজ

দিল্লি হাইকোর্ট আইনজীবী সমিতি অবশ্য এই সুপারিশ-এর তীব্র নিন্দা করেছে এবং এর বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। বিচারপতি মুরলিধরকে দিল্লি হাইকোর্টের অন্যতম সেরা বিচারপতি বলে উল্লেখ করে বার অ্যাসোসিয়েশন এই সিন্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছিল। তাদে বক্তব্য এই ধরনের বদলি বিচার ব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকারক এবং বিচার ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ণ করছে। প্রতিবাদে তাঁরা গত সপ্তাহে কাজ থেকেও বিরতও থাকেন।

আরও পড়ুন - আগুন থেকে উদ্ধার করলেন মুসলমান প্রতিবেশীদের, নিজে পুড়ে গেলেন প্রেমকান্ত

বুধবার বিচারপতি মুরলিধর-এর নেতৃত্বাদীন এক ডিভিশন বেঞ্চ বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র, অনুরাগ ঠাকুর এবং পরবেশ ভার্মার বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। দিল্লি পুলিশকে রাজনৈতিক নেতাদের ঘৃণামূলক বক্তৃতা সম্পর্কিত ভিডিওগুলি পরীক্ষা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে, হিংসায় আহতদের নিরাপত্তা ও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন - দিল্লি হিংসা-র বলি, একনজরে দেখে নিন মৃত ৩৪ জনের নাম-পরিচয়

 

Share this article
click me!