কেরলের গর্ভবতী হাতি হত্যায় নতুন মোড়, আনারস নয় বিপদ এসেছিল নারকেল থেকে

Published : Jun 06, 2020, 12:03 PM IST
কেরলের গর্ভবতী হাতি হত্যায় নতুন মোড়,  আনারস নয় বিপদ এসেছিল নারকেল থেকে

সংক্ষিপ্ত

বাজি ভর্তি নারকেল খেয়েই বিপত্তি কেরলের হাতি হত্যায় নতুন মোড় ধৃতকে জেরা করে পাওয়া গেছে এই তথ্য জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা

কেরলর গর্ভবতী হাতি আনারস খায়নি। সেই হাতিটি খেয়েছিল বাজি ভর্তি নারকেল। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর এমনই জানিয়েছে তদন্তকারীরা। মার্ন্নাক্কাড ডিভিশনের বনদফতরের আধিকারিক সুনীল কুমার জানিয়েছেন, ধৃত ব্যক্তি জেরায় স্বীকার করেছে হাতিটি বাজি ভর্তি করা নারকেল খেয়েছিল। আর সেই বাজি ফেটে গিয়েই গুরুতর চোট পেয়েছিল শুঁড়ে। 

তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ঘটনার তদন্তের জন্য ধৃত ব্যক্তি উইলসনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঘটনাস্থলে। সেখানেই অভিযুক্ত জানিয়েছে তারা তিন জন মিলে বারুদ জোগাড় করে পটকা তৈরি করেছিল। সেই পটকা ভর্তি করেছিল একটি নারকেলে। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, হাতিটি এই নারকেল ভেঙে যখন খেতে গিয়েছিল তখনই বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণে রীতিমত জখম হয়েছিল হাতিটির শুঁড়। 

মুসলিম অধ্যুষিত বলেই কি নিশানা, বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ দায়ের মানেকা গান্ধীর বিরুদ্ধে ...

তদন্তকারী আধিকারিকদের মতে হাতিটির মৃত্যুর প্রায় এক মাস আগে আঘাত পেয়েছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে আঘাতটি ২০ দিনের পুরনো। শুঁড়ের আঘাত গুরুতর হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই হাতিটি কোনও খাবার খেতে পারেনি। একবিন্দু জলও পান করেতে পারেনি। তীব্র খিদে আর অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করেই দিনের পর দিন বেঁচেছিল। ঘুরে বেড়িয়েছিল গ্রামে।  সবশেষে তীব্র যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য স্থানীয় একটি নদীতে শুঁড় ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। আর সেইভাবেই হাতিটির মৃত্যু হয়।

মমতার মুখে বঙ্গ আর দিলীপের মুখে পদ্ম, রাজ্যে কি শুরু হল 'মাস্ক রাজনীতি' .. 

তদন্তকারীদের তরফ  জানান হয়েছে, ধৃত ব্যক্তি একটা সময় রবারের চোরাচালানকারী ছিল। তার সঙ্গীরা এখনও গাঢাকা দিয়ে রয়েছে। তবে বাকি দুই অভিযুক্তকে খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে তিন অভিযুক্তই জানত হাতিটি তীব্র আঘাত পেয়েছে। তারপরেও তারা ছিল উদাসীন। 

সরকারি আধিকারিককে জুতো পেটা, টিকটক স্টার তথা বিজেপি নেত্রীর কীর্তি ...

স্থানীয় বনদফতের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এলাকার বন সংলগ্ন বাসিন্দারা যেকোনও ফল বা মুরগির পেটের ভিতর বাজি বা বারুদ রেখে দেয় বন শুয়োরকে ভয় দেখানোর জন্য। এটাই ফলস ও সম্পত্তি রক্ষা করার দীর্ঘদিনের পুরনো প্রচলিত রীতি। তবে হাতির মৃত্যুর তদন্ত হবে ও দোষীদের বিচার হবে বলেই অশ্বাস দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়েন। 

PREV
click me!

Recommended Stories

LIVE NEWS UPDATE: মেসি উন্মাদনায় ভুগছেন ফুটবলপ্রেমিরা, বিশ্বকাপজয়ী তারকার জন্য বিশেষ মিষ্টি উপহার ফেলু মোদকের
ভারতের উপর ট্রাম্পের ৫০% শুল্ক প্রত্যাহার? মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব পেশ তিন সদস্যের