করোনা আতঙ্কে নিম্নগামী শেয়ার বাজার, বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কায় ভারতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

  • শেয়ার বাজারে পতন অব্যাহত
  • আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কা
  • সেনসেক্সের পতন ১৮০০
  • পাল্লা দিয়ে পড়েছে নিফটিও

Asianet News Bangla | Published : Mar 19, 2020 7:00 AM IST

দেশে করোনার আতঙ্ক যত বাড়ছে পাল্লা দিয়ে পড়ছে শেয়ার মার্কেট। বৃহস্পতিবারও ভারতীয় স্কটক মার্কেটের পতন অব্যাহত। শেয়ার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে পতনের ইঙ্গিত দিতে শুরু করে। সকাল দশটা নাগাদ সেনসেক্সের সূচক ২৬.৯৭৭ থেকে নেমে যায় ১,৯০০তে। একই ছবি নিফটির ক্ষেত্রেও। ৬০০ পয়েন্ট কমে গিয়ে নিফটি এসে থামে ৭,৮৮৪.৬৫-এ। সপ্তাহের মাঝে বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে পতনকে রীতিমত বিপদ ঘণ্টা হিসেবেই দেখছেন দালাল স্ট্রিটের লগ্নিকারীরা।যদিও গত শুক্রবার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই দাম পড়তে থাকে শেয়ারের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নজীরবিহীনভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাজার। দোলেন দিন থেকে সামনে আসছিল পতনের ছবি। আগেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এখনই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই।   আগামী ১৫ দিন ভারতীয় শেয়ার বাজার আরও ভয়ঙ্কর ছবি দেখবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

 

ইয়েস ব্যাঙ্কের ভরাডুবির পর করোনার প্রকোপের জেরে শেয়ার মার্কেটের ভরাডুবি অব্যাহত। লগ্নিকারীরা লগ্নি করতে ভয় পাচ্ছেন বলেই এই হাল বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ধস শুধু ভারতীয় বাজারেই নয়। বিশ্বব্যাপী মন্দার ছবিটা ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে। কবে শেয়ার বাজারের স্থিতাবস্থা আসবে তা রীতিমত চিন্তা বাড়াচ্ছে লগ্নিগারীদের। 

আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস LIVE, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৯, বিশ্ব জুড়ে ছাড়িয়ে গেল ২ লক্ষের গণ্ডি

আরও পড়ুনঃ ভারতের বুকে করোনার থাবা, স্থগিত আইসিএসসি-আইএসসি পরীক্ষা

আরও পড়ুনঃ দাদু আটকে রয়েছেন নার্সিংহোমে, নিজের বাগদানের কথা জানাতে জানলাই ভরসা তরুণীর, হৃদয় ছুঁল ছবি

প্রথম দিকে ভারতে তেমন ভাবে প্রভাব ফেলেনি করোনাভাইরাস। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই অবস্থার অবনতি হচ্ছে। বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৯। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় রীতিমত বন্ধের ছবি গোটা দেশেই। একের পর এক শহরে প্রকট হচ্ছে বন্ধের ছবি। রীতিমত শাটডাউনের পথে গুরুগ্রাম, নয়ডা, বেঙ্গালুরুর মত তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্রীক শহরগুলি। বড় প্রতিষ্ঠানগুলি ইতিমধ্যেই বাড়ি থেকে কাজের পরামর্শ দিয়েছে কর্মীদের। এই পরিস্থিতে দাঁড়িয়ে রীতিমত সংকটের মুখে অনুসারী শিল্পগুলি। 
 

Share this article
click me!