বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এদেশেও বেড়ে চলেছে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ। বর্তমানে ভারতে ১৫১ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসটি পাওয়া গিয়েছে বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩। এদেশে সবথেকে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি মহারাষ্ট্রে। এই পরিস্থিতিতে ইউরোপিয় ইউনিয়ন, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স এবং আউগানিস্তান সহ একাধিক দেশ থেকে এদেশে আসার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার।
আরও পড়ুন: নিরাপদ দূরত্বেও আর রক্ষে নেই, এখন বাতাসেও ভাসতে শুরু করেছে মারণ করোনা ভাইরাস
এদেশে নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে একজনের খোঁজ মিলেছে চণ্ডীগড়ে। ২৩ বছরের ওই তরুণী সম্প্রতি ব্রিটেন থেকে এদেশে ফেরেন। এদিকে কর্ণাটকের পরিস্থিতিও উত্তরোত্তর খারাপ হচ্ছে। বুধবারই বেঙ্গালুরুতে নতুন করে ৩ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। ফলে বর্তমানে রাজ্যটিতে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪তে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সংক্রমণ রুখতে ইয়েদুরাপ্পার সরকার ২০০ কোটি তাৎক্ষণিক ব্যয় ঘোষণা করেছে। ভূস্বর্গ কাশ্মীরেও থাবা বসিয়েছে মারণ এই ভাইরাস। উপত্যকায় প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে শ্রীনগরে।
আরও পড়ুন: গরম ও আর্দ্রতা কোনও কিছুতেই কাবু হবে না কোভিড-১৯, উদ্বেগ বাড়িয়ে জানিয়ে দিল 'হু'
দেশজুড়ে এই করোনা আতঙ্কের মাঝেই এবার হরিদ্বারে বিখ্যাত গঙ্গা আরতি দর্শনের উপর নেমে এল নিষেধাজ্ঞা। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দর্শকদের জন্য 'হর কি পৌরী' ঘাটে গঙ্গা আরতি দেখতে দর্শকদের ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন হরিদ্বারের জেলা শাসক সি রবিশংকর। তবে এই কদিন নিয়ম মেনেই 'হর কি পৌরী' ঘাটে গঙ্গা আরতি হবে। পূণ্যার্থীরা লাইভ স্ট্রিমিং-এর মাধ্যমে তা দর্শন করার সুযোগ পাবেন।
হরিদ্বারের মত বেনারসেও গঙ্গা আরতি বিখ্যাত। বহু দেশি-বিদেশি পর্যটক এই গঙ্গা আরতি দেখতেই বেনারসে আসেন। কিন্তু করোনা আতঙ্কে এবার সেখানেও পরল কোপ। প্রশাসন সূত্রে জানান হয়েছে এখন থেকে কেবল মাত্র একজন পুরোহিত গঙ্গা আরতি করবেন। আরতি চলার সময় সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে ভক্তদের।