রেড ক্রিসেন্টকে কাজ পাইয়ে দিতে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে নির্দেশেও দিয়েছিলেন শিবশঙ্কর। লাইফ মিশনের চেয়ারম্যানকে যাতে পিনারাই সবরক ছাড়পত্র দেন তারও ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন শিবশঙ্কর।
সোনা পাচারের পর এবার লাইফ মিশল দুর্নীতির তদন্তেও মূল কালপ্রিট স্বপ্না সুরেশ ও এম শিবশঙ্কর । তাদের দুজনেরা আরও বেশকিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে তাদের কথাবার্তা হয়েছিল ২০১৯ সালে। এম শিবশঙ্কর রেড ক্রিসেন্টকে লাইফ মিশন প্রকল্পে কীভাবে আনতে হবে সেই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন। শুধু পরামর্শ নয়, রেড ক্রিসেন্ট সরকারকে যে চিঠি দিয়েছিল তারও খসড়া নিজের হাতে তৈরি করেছিলেন এম শিবশঙ্কর।
২০১৮ সালে কেরলে বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সেই সময় কেরলের পুণর্বাসনের জন্য রেড ক্রিসেন্ট কেরসবাসীর সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ণ করেছিল। পাশাপাশি পুনর্বাসনের বেশ কিছু কাজও করেছিল। কিন্তু এই রেড ক্রিসেন্টকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার পিছনে মূল যড়যন্ত্রী হিসেবেই উঠে আসছে সেই সময় কেরলেনের মুখ্যমন্ত্রী আপ্তসহয়াক এম শিবশঙ্করের নাম। একই সঙ্গে উঠে আসছে তাঁর সঙ্গী স্বপ্না সুরেশের নামও। বর্তমানে প্রাক্তন আপ্তসহায়ক তথা আইএএস অফিসারকে গ্রেফতার করেছে ইডি। আর সেই সঙ্গেই ফাঁস হয়েছে কী করে কেরলে নিয়ে আসা হয়েছিল রেড ক্রিসেন্টকে।
এম শিবশঙ্কর আর স্বপ্না সুরেশের হোয়াটসঅ্যাপ চ্য়াটেই গোটা পরিকল্পনার বেশ কিছু অংশ ধরা পড়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে কনস্যুলেট থেকে চিঠির অনুমোদন পাওয়ার পাশাপাশি দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর ছাড়পত্র পওয়ার নীলনক্সা তৈরি করেছিলেন তাঁরা।
সম্প্রতি এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে রেড ক্রিসেন্টকে কাজ পাইয়ে দিতে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে নির্দেশেও দিয়েছিলেন শিবশঙ্কর। লাইফ মিশনের চেয়ারম্যানকে যাতে পিনারাই সবরক ছাড়পত্র দেন তারও ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন শিবশঙ্কর। ইডি আধিকারিকরা ফরেন্সিক পরীক্ষার মাধ্যমে স্বপ্না সুরেশ ও শিবশঙ্করের ফোন থেকে প্রচুর তথ্য পেয়েছে। তাদের কথাবার্তা হেয়ছিল মূলত দুপুর দেড়টার পরে।
অন্যদিকে শিবশঙ্করের চাটার্ড অ্যাকাউন্ট বেনুগোপাল ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের সাক্ষী দিয়েছেন, স্বপ্না যতবারই তাঁর আর স্বপ্নার নামে লকার খুলেছে ততবারই শিবশঙ্করকে তা জানান হয়েছে। ভেনুগোপাল আরও জানিয়েছেন, শিবশঙ্ককরের নির্দেশেই তিনি তাঁর আর স্বপ্নার নামে লকার খুলেছিলেন। প্রথম দফায় সেখানে ৩০ লক্ষ টাকা রাখা হয়। পরের দিকে স্বপ্না একাই লকার খুলতেন। তবে স্বপ্না সেখানে কী রাখছেন তা তিনি জানতেন না বলেও জানিয়ে দেন ভেনুগোপাল।