প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সুদর্শন সেতু উদ্বোধন করার পরে বলেন, যখন আমি দেশের মানুষকে একটি নতুন ভারতের গ্যারান্টি দিয়েছিলাম তখন বিরোধীরা আমাকে উপহাস করেছিল।
ভগবান কৃষ্ণ তাঁর ভাগ্যে লিখেছেন সুদর্শন সেতু। শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছেতেই তিনি এই সুদর্শন সেতুর উদ্বোধন করছেন। গুজরাটে সেতু উদ্বোধনের পর এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি তিনি কংগ্রেসকেও নিশানা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন কেন্দ্রে ছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের কাছে সুদর্শন সেতুর জন্য তাঁর প্রস্তাবও রেখেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস তা ফিরিয়ে দিয়েছিল। তাঁর প্রস্তাবে কর্ণপাতও করেনি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি দ্বারকায় গিয়েছিলেন। সেখানে একটি ময়ূরের পালকও নিবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন, সেটি মন্দিরে অর্পণ করেছেন। তাঁর এদিন তাঁর স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। তাই তিনি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সুদর্শন সেতু উদ্বোধন করার পরে বলেন, 'যখন আমি দেশের মানুষকে একটি নতুন ভারতের গ্যারান্টি দিয়েছিলাম তখন বিরোধীরা আমাকে উপহাস করেছিল। কিন্তু আজ প্রত্যেক ভারতীয় তাদের চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে একটি নতুন ভারত গড়ে উঠেছে। তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু দেশের মানুষের উন্নয়নের কোনও সদিচ্ছা তাদের ছিল না। কারণ তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা ছিল পরিবারকে টিকিয়ে রাখা।' তিনি আরও বলেন, কেলেঙ্কারিগুলিকে কার্পেটের নিচে চাপা দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য সরকার চালানই ছিল তাদের ইচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের আগে ১০ ভারতীয় অর্থনীতি ছিল ১১ নম্বর স্থানে। সেইসময় কেলেঙ্কারি বেড়েছিল।
দ্বারকায় সমুদ্রের মধ্যে ময়ূরের পালক নিবেদন নরেন্দ্র মোদীর। স্মরণ করেন ভগবান কৃষ্ণকে। দেখুন সেই ভিডিওঃ
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে মোদী সরকার গঠন হয় দিল্লিতে তখন তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি দেশকে লুঠ হওয়া থেকে বাঁচাবেন। আর সেই কারণে ভারত বর্তমানে বিশ্বের ৫ নম্বর অর্থনীতির দেশ। এমনটাই দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন মোদী বলেছেন, সুর্দশন সেতু- চনুব সেতু, মুম্বাইয়ের অটল সেতু, তামিলনাড়ুর উল্লম্ব উত্তোলন রেলওয়ে সমুদ্র সেতুর মত দেশের ইঞ্জিয়ারিং ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। সুদর্শন সেতু হল ভারতের দীর্ঘতম কেবল -সেতু। এটি ওখা মূল ভূখণ্ড ছেকে গুজরাটের বেইট দ্বারকা দ্বীপকে যুক্ত করেছে। ২০১৭ সালে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। বেইট দল দ্বারকা ও ওখা বন্দরের কাছে একটি দ্বীপ। দ্বারকা শহর থেকে আনুমানিক ৩০ কিলোমিটার দূরে। এখানে রয়েছে ভগবান কৃষ্ণের বিখ্যাত দ্বারকাধীশ মন্দির।
আরও পড়ুনঃ
Viral Video: দেখুন চালক ছাড়াই মালগাড়ি ছুটল ১০০ কিলোমিটার বেগে, থামল পাঁচটি স্টেশন পরে
Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে কীর্তনের আসরে খোল বাজালেন পার্থ, দুই হাত তুলে নাচ সুজিতের