সংক্ষিপ্ত

পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু সন্দেশখালির বেড় মজুর এলাকায় যান। সেখানে একটি কীর্তনের আসরে তাঁদের যোগ দিতে দেখা যায়।

 

সন্দেশখালি সফরের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে আবারও সেখানেই গেলন রাজ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু। রবিবার সকালে তাঁরা আবারও যান উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে। রাজ্যের মন্ত্রীরা দাবি করেছেন তাঁরা উত্তপ্ত এলাকায় গিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগ শুনতে। সেখানের সমস্যাগুলির সমাধান করতে। কিন্তু দুই মন্ত্রীর ঘনঘন সফরেও রাগ কমেনি গ্রামের মহিলাদের। তাঁরা এখনও অবস্থান বিক্ষোভে অটল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে ফেরার তৃণমূল নেতা সেখ সাহজাহানকে। কিন্তু সেই প্রসঙ্গ প্রায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। তবে এদিন তাদের অভিনব পদ্ধতিতেত জনসংযোগ করতে দেখা যায়।

এদিন পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু সন্দেশখালির বেড় মজুর এলাকায় যান। সেখানে একটি কীর্তনের আসরে তাঁদের যোগ দিতে দেখা যায়। কীর্তন গানের অনুষ্ঠানে পার্থ ভৌমিক খোল বাজিয়েছেন। কখন আবার তাঁকে দুই হাত তুলে নাচতেও দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী সুজিত বসুকেও কীর্তন গানের তালে দুই হাত তুলে নাচতে দেখা যায়। এদিন সন্দেশখালি পৌঁছেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী জানিয়ে দেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে ও তাদের অভিযোগ শুনতেই তারা বারবার সন্দেশখালি আসছেন। তাদের পাঠিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ বলেন, 'আমাদের কাজ মানুষের পাশে থাকা। কোনও ব্যক্তির পাশে দল বা সরকার নেই।' এদিনও স্থানীয়রা রাজ্যের দুই মন্ত্রীর সামনে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। শাহজাহানের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভও দেখান।

রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হানার পর কেটে গেছে ৫০ দিন। সেই থেকে ফেরার শাহজাহান। এখনও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ ইচ্ছেকৃতভাবে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। অন্যদিকে শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের অভিযোগও সামনে এসেছে। স্থানীয় মহিলা শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সরব হয়েছে। যা নিয়ে উত্তাল দেশের রাজনীতি। কেন্দ্রের একাধিক প্রতিনিধি দল সন্দেশখালে এসেছে। বিরোধীদের অভিযোগ সন্দেশখালির ড্যামেড কন্ট্রোল করতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে সেখানে বারবার পাঠাচ্ছেন।