জিজ্ঞাসাবাদে পূর্ণা কালা দেবী স্বীকার করেছেন যে তিনি বুদ্ধিনাথ ঝায়ের প্রেমে পড়েছিলেন। তবে আরেক ব্যক্তি একজন পবন কুমার পূর্ণা কালা দেবীকে ভালবাসতেন।
এ যেন উলটপুরাণ। সাংবাদিকতার জন্য নয়, বরং ত্রিকোণ প্রেমই (Love triangle) নাকি চরম পরিণতি ডেকে এনেছে বিহারের মধুবনী জেলার সাংবাদিকের। এমনই দাবি পুলিশের। বিহারের (Bihar) মধুবনী জেলার একটি গ্রামের কাছে মেলে ২২ বছর বয়সী সাংবাদিক (22-year-old journalist) এবং আরটিআই কর্মীর (RTI Activist) মৃতদেহ (Body Of Bihar Journalist)। ওই যুবককে চার দিন আগে অপহরণ করা হয়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাস্তার ধারে মিলল তাঁর জ্বলে যাওয়া অগ্নিদগ্ধ দেহ। কে বা কারা রাস্তার ধারে তাঁর দেহ ফেলে রেখে যায়, সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
পরে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছয়জনের নাম রোশন কুমার, বিট্টু কুমার, দীপক কুমার, পবন কুমার, মনীশ কুমার এবং পূর্ণা কালা দেবী।
হত্যার কারণ - ত্রিকোণ প্রেম ?
পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে পূর্ণা কালা দেবী স্বীকার করেছেন যে তিনি বুদ্ধিনাথ ঝায়ের প্রেমে পড়েছিলেন। তবে আরেক ব্যক্তি একজন পবন কুমার পূর্ণা কালা দেবীকে ভালবাসতেন। ধৃত পবন চায়নি বুদ্ধিনাথ ঝা এবং পূর্ণ কালা দেবী একে অপরের সাথে কথা বলুক। পবন বুদ্ধনাথের সাথে কথা না বলার জন্য পূর্ণ কালা দেবীর উপর চাপ দিত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের দাবি ধৃত দুই ব্যক্তি পবন কুমার এবং রোশন কুমার বুদ্ধিনাথ ঝাকে তাদের ব্যক্তিগত কারণে খুন করেছে। রোশন কুমার এই খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল কারণ তার একটি ল্যাবরেটরির কাজকর্ম বুদ্ধনাথ ঝায়ের তদন্তে প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে, বুদ্ধনাথ ঝা-এর পরিবারের অভিযোগ বুদ্ধনাথ ঝা ওরফে অবিনাশ ঝা স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টালের একজন সাংবাদিক ছিলেন। তিনি একটি ফেসবুক পোস্ট আপলোড করার দুই দিন পরে নিখোঁজ হয়ে যান।
Rahul Gandhi-হিন্দুত্ব মানেই শিখ-মুসলিমকে পেটানো, বিজেপিকে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর
Climate Summit-জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতায় ২১টি দেশ, কোন প্রশ্নে এককাট্টা ভারত-চিন
এই পোস্টে একটি মেডিকেল ক্লিনিকের নাম দিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট করেন। এই ক্লিনিকটিকে ভুয়ো ক্লিনিক বলে তুলে ধরেন তিনি। তাঁর এই রিপোর্টের পর বেশ কয়েকটি ক্লিনিকের কাজ বন্ধ হয়ে যায় ও বেশ কয়েকটি ক্লিনিককে প্রচুর জরিমানা দিতে হয়। এরপরেই রোষের মুখে পড়েন ওই সাংবাদিক।
বুদ্ধনাথ ঝা কে ছিলেন?
২২ বছর বয়সী বুদ্ধনাথ ঝা একটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক ছিলেন। তিনি একজন RTI কর্মীও ছিলেন। তিনি মধুবনী জেলার বাসিন্দা, তিনি গত দুই বছর ধরে নিউজ ওয়েবসাইট বিএনএন নিউজ বেনিপট্টি চালাচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবারও কোনও খোঁজ মেলেনি বুদ্ধনাথের। ১২ই নভেম্বর শুক্রবার স্থানীয় বাসিন্দা ও বুদ্ধনাথের আত্মীয় বি জে বিকাশ বেটাউন গ্রামের মধ্যে দিয়ে যাওয়া হাইওয়েতে একটি লাশ পাওয়া গেছে বলে খবর পান। কিছু আত্মীয় এবং প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ সেখানে গিয়ে বুদ্ধনাথের মৃতদেহ দেখতে পায়। তার আঙুলে একটি আংটি, তার পায়ে একটি চিহ্ন এবং গলায় একটি চেন দেখে দেখে সনাক্ত করা হয় বুদ্ধনাথের দেহটিকে।