সরস্বতী পুজোর দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, 'শিক্ষার্থীদের হিজাবকে তাদের শিক্ষার পথে আসতে দিয়ে আমরা ভারতের মেয়ের ভবিষ্যৎ কেড়ে নিচ্ছি।' তিনি আরও বলেন মা সরস্বতী সকলেই জ্ঞান দান করেন। তিনি কোনও শিক্ষার্থীর মধ্যে পার্থক্য করেন না।
সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) দিনেই কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) নিশানা করলেন কর্নাটকের বিজেপিকে (Karnataka BJP)। কর্নাটকের একটি কলেজে মুসলিম ছাত্রীরা (Muslim Student) হিজাব (Hijab) করে ক্লাস করতে চেয়েছে। যাবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ। যারা হিজাব পরে ক্লাস করতে চেয়েছে আন্দোলন করছে রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তাঁদেরই পাশে দাঁড়ালেন। পাল্টা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে সোশ্যাল মিডিয়া বার্তা দিল কর্নাটকের বিজেপি।
সরস্বতী পুজোর দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, 'শিক্ষার্থীদের হিজাবকে তাদের শিক্ষার পথে আসতে দিয়ে আমরা ভারতের মেয়ের ভবিষ্যৎ কেড়ে নিচ্ছি।' তিনি আরও বলেন মা সরস্বতী সকলেই জ্ঞান দান করেন। তিনি কোনও শিক্ষার্থীর মধ্যে পার্থক্য করেন না।
রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন কর্নাটকের বিজেপি। টুইট করে গেরুয়া শিবির বলে, শিক্ষাকে সাম্প্রদায়িক করার পথ দেখিয়েছে কংগ্রেস। এই বিষেয় কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠাতাও বলা যেতে পারে। তারপরই রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে বলে, তিনি আবারও প্রমাণ করেলন তিনি দেশের ভবিষ্যতের পক্ষে ক্ষতিকর। শিক্ষিত হওয়ার জন্য যদি হিজাব অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয় তাহলে রাহুল গান্ধী কেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে এটি বাধ্যতামূলক করছে না? এমন প্রশ্নও ছুঁড়ে দেওয়া হয়।
কর্নাটকের উডুপির উপকূলীয় শহর কুন্দাপুরের ভান্ডারকরস আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স ডিগ্রি কলেজের মুসলিম মহিলারা প্রথমে হিজাব পরে ক্লাস করার আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি হয়নি। কিন্তু তারপর থেকেই হিজাব পরা অবস্থায় মহিলাকে ক্লাস করার অনুমতি দেওয়া হয়। পরপর দুদিন তাঁদের কলেজ ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রায় ৪০ জন মহিলা কলেজের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
এই কলেজের একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসের মধ্যে ছাত্রীদের স্কার্ফ পরার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে স্কার্ফের রঙ দোপাট্টার রঙের সঙ্গে এক হতে হবে। কলেজসহ ক্যাম্পাসের অন্যত্র কোনও শিক্ষার্থী মাথায় অন্য কোনও রঙের স্কার্ফ দিতে পারবে না।
কলেজের অধ্যক্ষ নারায়ণ শেঠি বলেছেন, তিনি ক্যাম্পাসে সম্প্রীতি রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সরকারি কর্মচারী হওয়ায় তাঁর হাত-পা বাঁধা রয়েছে। সরকারের সমস্ত নিয়মই তাঁকে মানতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁকে বলে দেওয়া হয়েছে, কোনও ছাত্র যদি গেরুয়া চাদর গায়ে দিয়ে কলেজে ঢোকে তাহলে তাঁকেই দায়ী করা হবে। তাই তিনি এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন।
কর্নাটক রাজ্য সরকার পরিচালিত কলেজদুলি এই ড্রেসকোড নিয়ে নিজস্ব নির্দেশিকা জারি করতে পারে। কিছু সরকারি কলেজে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে তারা হিজাব পরে ক্লাস করতে পারে কিনা তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য নেই। তবে সম্প্রতি হিজাব পরা নিয়ে কর্নাটকের বেশ কয়েকটি কলেজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
Covid Vaccine: একটি ডোজের স্পুটনিক লাইটকে ছাড়ের সুপারিশ, তবে রয়েছে কিছু শর্ত
বিজেপি সাংসদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ নরেন্দ্র মোদী, বললেন দলের কঠিন সময় তিনি কাজ করেছেন