দুই বছর পরে মহাকুম্ভ ২০২৫। এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিল যোগী সরকার। একাধিক প্রকল্পে খরচ করা ৩০০ কোটি।
আসন্ন কুম্ভমেলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কুম্ভমেলা প্রয়াগরাজ সঙ্গমে অনুষ্ঠিত হবে। কুম্ভমেলা কুম্ভমেলা ২০২৫এর পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে যোগী সরকার। সেইমত নির্দেশও দেওয়া হয়েছে পর্যটন দফতরকে। যোগী সরকারের উদ্দেশ্য পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি, মেলায় উপস্থিত জনগণকে প্রয়োজনীয় সুবিধে প্রদান করা ও মন্দিরের পরিকাঠামোর উন্নয়ন।
উত্তর প্রদেশ সরকার সূত্রের খবর একাধিক প্রকল্পের জন্য ১৭০ কোটি টাকা খরচ করা হয়ে। ১২০ কোটি টাকা খরচ করা হবে নাগরিক উন্নয়নের জন্য আর ১৮ কোটি টাকা খচর করা হবে কুম্ভমেলাকে আলো দিয়ে সাজানোর কাছে।
কুম্ভমেলা উপলক্ষ্য়ে 'ডিজিটাল কুম্ভ মিউজিয়াম' নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে যোগী সরকার। রাজ্যের পর্যটন দফতরকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্যই হল ভক্তদের আকর্ষণ বাড়ানো। নমেলার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য বা গুরুত্ব তুলে ধরা ভক্তদের কাছে। এটি দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে বলেও মনে করছে পর্যটন দফতর।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মহাকুম্ভ ২০২৫ কে ইতিহাসের একটি অতুলনীয় ও দুর্দান্ত অনুষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তাঁর লক্ষ্য হল প্রয়াগরাজকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থান হিসেবে তুলে ধরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কুম্ভমেলা উপলক্ষ্যে পর্যটক আসেন। তাদের সমস্তরকম আধুনিক সুবেধে প্রদান করা।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার একটি বৈঠকে ২০২৫ সালের কুম্ভমেলা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করে। বৈঠকে ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মহাকুম্ভ ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত হলেও আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে যাতে কুম্ভে যাওয়া পর্যটক ও ভক্তরা সকল সুবিধে পায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কুম্ভমেলা উপলক্ষ্যে যোগী আদিত্যনাথ প্রয়াগরাজকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন বলেও উত্তর প্রদেশের এক সরকার কর্মকর্ত জানিয়েছেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিজিটাল কুম্ভ মিউজিয়াম দর্শকদের একটি আধুনিক কুম্ভের অভিজ্ঞতা প্রদান করবে, যা গরম, বায়ুচলাচল, এয়ার-কন্ডিশনিং (HVAC) এবং অডিও-ভিডিও কক্ষের মতো সুবিধা সহ সম্পূর্ণ হবে। এটি আধ্যাত্মিক-থিমযুক্ত গ্যালারি তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মিউজিয়ামে একটি ফুডপ্লাজা ও স্যুভেনির স্টোর থাকবে। যেখানে কুম্ভমেলা সম্পর্কিত বই একাধিক পণ্য রাখা হবে বিক্রির জন্য। যাদুঘর, গ্যালারি আর একটি থিয়েটার থাকবে। পাশাপাশি থাকবে গেস্টহাউস। থিয়েটারের নাম অমৃত কলস। প্রবেশ লবিতে সঙ্গম স্থালের একটি ডিজিটাল প্রজেকশন থাকবে।
জাদুঘরটি প্রয়াগরাজের ঐতিহাসিক এবং বর্তমান উভয় দিক সম্পর্কে তথ্য প্রদান করবে। 'সমুদ্র মন্থন'-এর মহাকাব্যিক কাহিনী সমুদ্র মন্থন গ্যালারিতে ফ্লোর প্রজেকশনের মাধ্যমে দেখানো হবে। আখাদা গ্যালারি দেশের আখাড়া সংস্কৃতির উপর ফোকাস করবে এবং শঙ্করাচার্যের ভ্রমণের ছবি একটি ইন্টারেক্টিভ ডিসপ্লে ফিচার করবে।ভিডিওর মাধ্যমে ত্রিবেনী সঙ্গমকে তুলে ধরা হবে।
পঞ্চকোশী পরিক্রমা পথের পাশে ভরদ্বাজ আশ্রম, দ্বাদশ মাধব মন্দির, নাগবাসুকি মন্দির, দশাশ্বমেধ মন্দির, মনকামেশ্বর মন্দির, আলোপাশঙ্করী মন্দির, পদিলা মহাদেব মন্দির সহ একাধিক তীর্থক্ষেত্রের উন্নয়নের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভাসমান জেটি ও রেস্তোঁরা তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
Morgan Stanley Report: ৪ ট্রিলিয়ান অর্থনীতি লক্ষ্যে ভারত, ১০ পরিবর্তন আর্থিক যুদ্ধের বড় হাতিয়ার
Kolkata Fire: অফিস টাইমে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের বহুতলে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকল
Rahul Gandhi: 'হ্যালো! মিস্টার মোদী', আমেরিকার সিলিকন ভ্যালিতে পেগাসাস নিয়ে কটাক্ষ রাহুলের