
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্য়বাদ প্রস্তাবের বিতর্কের মধ্যেই বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) তোপ দাগেন মোদীর বিরুদ্ধে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের (US Precedent Donald Trump)শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে দেশের কর্মসংস্থান- একাধিক বিষয় নিয়েই রাহুল গান্ধী নিশানা করেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi)। রাহুল গান্ধীর একাধিক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপির সাংসদরা। পাল্টা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, 'আমাদের দেশে যদি উৎপাদন সঠিকভাবে হত, প্রযুক্তি নিয়ে ভাল করে কাজ করা হত তাহলে আমেরিকায় বিদেশমন্ত্রীকে তিন - চারবার পাঠাতে হত না। উল্টে মার্কিন রাষ্ট্রপতি আমাদের দেশে আসতেন আর প্রধানমন্ত্রীকে নিজেই আমন্ত্রণ জানিয়ে যেতেন'। তিনি মোদীর উদ্দেশ্যে আরও বলেন, 'আমি দুঃখিত এই কথা বলে আপনার মনের শান্তি নষ্ট করার জন্য।' কিরেন রিজিজু পাল্টা বলেন, এজাতীয় মন্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে।
লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিত। সেই সময়ই রাহুল গান্ধী বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে পাঠান হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল একটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য একটি মার্কিন আমন্ত্রণ নিশ্চিত করা। রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের পরই সাংসদীয় বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর নেতৃত্বে তীব্র প্রতিবাদ জানান হয়। তিনি বলেছেন, দেশের বিদেশ নীতির সঙ্গে যুক্ত এজাতীয় অপ্রমাণিত বিবৃতি কোনও দায়িত্ববান সাংসদ দিতে পারেন না।
রাহুল গান্ধী এদিন ছিলেন নিজের ছন্দে। বিজেপির প্রতিবাদ তাঁকে দমাতে পারেনি। রাষ্ট্রপতির ভাষণেরও তীব্র সমালোচনা করেন রাহুল দান্ধী। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ গতবার আর তার আগেরবার তিনি মন দিয়ে শুনেছিলেন। তারপরই তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রপতির ভাষণ সরকারের একটি লন্ড্রির তালিকা ছিল যা যা সরকার করেছে।' তিনি আরও বলেন, দেশের বেকার সমস্যা মোকাবিলা করতে ব্যর্থ মোদী সরকার। তিনি বলেন, কর্মসংস্থান নিয়ে মোদী সরকার দেশের বেকার তরুণ-তরুণীদের স্পষ্ট উত্তর দিতে পারছে না।
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, দেশের জিডিপি নামতে শুরু করেছে। ২০১৪ সলে ছিল ১৫.৩ শতাংশ। বর্তমানে তা নেমে হয়েছে ১২.৬ শতাংশ। তিনি বলেন, ধাক্কা খেয়েছে নরেন্দ্র মোদীর মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প। তাঁর কথায় 'আমি প্রধানমন্ত্রীকে দোষারোপ করছি না। এটা বলা ঠিক হবে না যে তিনি চেষ্টা করেছেননি। মেক ইন ইন্ডিয়া একটি ভাল ধারনা ছিল, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্যর্থ হয়েছেন।'
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।