সংক্ষিপ্ত
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের অনুদান সংক্রান্ত একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিজেপি ৩৯৬৭ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে।
কংগ্রেস (Congress) টেক্কা দিল বিজেপিকে (BJP)। গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির জমা পড়া অনুদানের অঙ্ক এক লাফে ৮৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু খুব একটা পিছিয়ে না থেকে কংগ্রেস টেক্কা দিল বিজেপিকে। একই সঙ্গে টেক্কা দিল তৃণমূল কংগ্রেসকেও। যদিও অধিকাংশ টাকাই এসেছে অসাংবিধানিক নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bonds) মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দলের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে যে আয়ের হিসেব দাখিল করা হয়েছিল তাতেই প্রকাশ্যে এসে এই তথ্য।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের অনুদান সংক্রান্ত একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিজেপি ৩৯৬৭ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে প্রাপ্ত অনুদানের অঙ্ক ছিল ২৩৬০ কোটি। তবে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যে আয় কিছুটা কমে গেরুয়া শিবিরে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তা কমে গিয়ে হয়েছিল ১২৯৪ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের রায় ছিল নির্বাচনী বন্ড পুরোপুরি অসাংবিধানিক। এই নির্বাচনী বন্ড বাতিল হওয়া উচিৎ। সুপ্রিম কোর্টের ঘোষণা ছিল নির্বাচনী বন্ড - তথ্য জানার অধিকার আইনকেও লঙ্ঘন করেছে। বাতিল করে দেওয়া হয় নির্বাচনী বন্ড। কিন্তু এই ঘোষণা ২০২৩-৩৪ অর্থবর্ষের শেষ পর্যায় হওয়য় অনেক টাকাই জমা পড়েছিল। তাই তার আগেই রাজনৈতিক দলের খাতায় টাকা জমা পড়েছিল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে।
নির্বাচনী বন্ড ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তৃণমূল মোট ৬৪৬ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে অনুদানের অঙ্ক ছিল ৩৩৩ কোটি টাকা। তৃণমূল কংগ্রেসের অনুদানের ৯৫ শতাংশ এসেছিল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে।
তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদানে বিজেপি আর তৃণমূল কংগ্রেসকে টক্কর দিয়েছে কংগ্রেস। ২০২২-২৩ সালে কংগ্রেস অনুদান হিসেবে পেয়েছিল ২৬৮ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছিল ১১২৯ কোটি টাকা। শতাংশের হারে ৩২০ শতাংশ। নির্বাচনী বন্ডে অনুদান ১৭১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছিল ৮২৮ কোটি টাকা।
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীকে লোকসভা নির্বাচনের আগে এক হাত নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই রাহুল গান্ধী কড়া মন্তব্য করেছিলেন। তিনি নির্বাচনী বন্ডকে বিশ্বের বৃহত্তম তোলাবাজির ব়্যাকেট বলে অভিহিত করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সেই তোলাবাজির ব়্যাকেট চালাচ্ছিলেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন।
আরজি কর মামলায় বিপাকে সন্দীপ ঘোষ, তদন্ত শেষের পথে আদালতে জানাল CBI
বাজেটেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের! জল্পনা নতুন প্রকল্প নিয়েও
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের বৃহত্তম তোলাবাজির ব়্যাকেট চালাচ্ছেন। তবে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল আরও বলেন, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে যে টাকা বিজেপি সংগ্রহ করেছে তা দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে বিভক্ত করতে ও বিরোধী সরকারগুলি ফেলে দেওয়ার কাজে ব্যবহার করছে। নির্বাচনী বন্ড নিয়ে তদন্তেরও দাবি জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী আরও বলেছিন নির্বাচনী বন্ডের টাকা ব্যবহার করে মরাহাষ্ট্রের শিবসেনা ও এনসিপির মত দলগুলিকে বিভক্ত করতে ও সরকার ফেলা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে সরকার গঠনের জন্য নির্বাচনী বন্ডের ব্যবহার করা হয়নি। কর্পোরেট ভারতের সবথেকে বড় তোলাবাজির সাক্ষী নির্বাচনী বন্ড বলেও তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি আরও বলেন, যেসব সংস্থাগুলি বিজেপিকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সাহায্য দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ইডি ও সিবিআই কোনও পদক্ষেপ করেনি। কিন্তু যারা অর্থ সাহায্য করেনি তাদের ওপর ইডি সিবিআই তদন্তের নামে হয়রানি করা হয়েছে। এই স্কিমের মাধ্যমে বেআইনিভাবে কর্পোরেট সংস্থাগুলির থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়েছে বিজেপি। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী সংগঠিত চুরির নেতৃত্ব দিয়েছেন। রাহুলের কথায় এর থেকে দেশবিরোধী আর কিছুই হতে পারে না। কংগ্রেস এলে এজাতীয় ঘটনা আর ঘটনা বলেও তিনি গ্যারান্টি দেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।