কেন্দ্র রাজনীতি বন্ধ করুক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে রাজ্যগুলি সাধ্যমত লড়াই করছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্যগুলি নিজের সাধ্য মত প্রচেষ্টাও করছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এমনই মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে সাড়া দিয়ে গোটা দেশই ২৫ মার্চ থেকে লকডাউনে সামিল হয়েছে। লাকডাউন নিয়ে কোনও বিরোধিতা করেনি রাজ্যগুলি। উল্টে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমদিকে প্রধানমন্ত্রীকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল পাঠান হয় দিল্লি থেকে। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী ক্রমাগত নিশানা করে চলছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সামনাসামনি বসেও তার অন্যথা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, কেন্দ্রের উচিৎ প্রত্যেকটি রাজ্যকে সমান গুরুত্ব দেওয়া। আমরা সবাই টিম ইন্ডিয়ার মত একত্রিত হয়েই লড়াই করছি।
এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, সংবিধানে কেন্দ্র ও রাজ্যের যে সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে এক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের একটি নির্দিষ্ট চিত্রনাট্য রয়েছে। সেটাকে মাথায় রেখেই কথা বলা ও কাজ করা হচ্ছে। কোনও বিষয়েই রাজ্যগুলির মতামত গ্রহণ করা হচ্ছে না। কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্পর্ক নষ্ট না করার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। পাশাপাশি তিনি এই সংকটকালীন সময় রাজনীতি না করারই আর্জি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ 'শ্রমিক স্পেশাল'র জন্য নতুন গাইডলাইন রেলের, আজ বিকেল থেকেই অনলাইন বুকিং বিশেষ ট্রেনের ...
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যার হেরাফেরি করা হয়েছে এই রাজ্যে। লকডাউনের নিয়ম ঠিকমত মানা হচ্ছে না রাজ্যে। অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। তারপরই সক্রিয় হয় কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য মন্ত্রকও নিশানা করে রাজ্য সরকারকে। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ও মেডিক্যাল রিসার্চও রাজ্যের ভূমিকার তীব্র সমানোচনা করে। যা নিয়ে দূরত্ব ক্রমশই বাড়তে থাকে। সেই আবহেই সোমবার ভিডিও কনফারেন্সেপ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আর মুখ্যমন্ত্রী মুখোমুখি হয়েছিলেন। আর সেখানেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।