তৃতীয় পর্বের লকডাউন শেষ হতে আরও দিন পাঁচেক সময় রয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে ১৫ জোড়া ট্রেন চালান সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। তবে সেই ক্ষেত্রেও মানা হবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিধি। তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে। চরম সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে রাজধানীর যাত্রীদের জন্যও।
সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ট্রেন ছাড়ার ৯০ মিনিট আগে স্টেশনে আসতে হবে। ট্রেন ছাড়ার ১৫ মিনিট আগে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
স্টেশনে ঢোকার আগেই প্রত্যেক যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সেই পরীক্ষা যদি সংশ্লিষ্ট যাত্রী পাশ করেন তবেই তাঁকে সফরের অনুমতি দেওয়া হবে।
প্রত্যেক যাত্রীকে নূন্যতম সামগ্রী নিয়ে সফর করতে আবেদন জানিয়েছে রেল মন্ত্রক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক পরতে হবে । মেনে চলতে হবে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব।
প্রত্যেক যাত্রীকেই আরোগ্য সেতু অ্যাপ তাঁর মোবাইলফোনে ডাউনলোড করতে হবে।
শুধুমাত্র অনলাইনে টিকিট বুকিং করা যাবে। আইআরসিটিসির ওয়েব সাইটেই সোমবার বিকেল থেকে টিকিট বুকিং করা শুরু হয়েছে।
রেলমন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া স্বাস্থ্য বিধির পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্য বিধিও মেনে চলতে হবে যাত্রীদের।
প্রথম পর্বে শুধুমাত্র শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরাগুলি চালান হবে।
অধিকাংশ নিয়মই প্রযোজ্য হবে বিশেষ রাজধানী ট্রেনের যাত্রীদের ক্ষেত্রে। তবে রাজধানীর যাত্রীদের যে খাবার সরবরাহ করা হত তা বর্তমানে বন্ধ রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রত্যেক যাত্রীকেই বাড়ি থেকে কম্বল ও চাদর আনতে বলা হয়েছে। কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এখন কিছুই বিলি করা হবে না রেল যাত্রীদের মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ 'শ্রমিক স্পেশাল'র জন্য নতুন গাইডলাইন রেলের, আজ বিকেল থেকেই অনলাইন বুকিং বিশেষ ট্রেনের
লকডাউনের কারণে গত ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে রেল পরিষেবা। ভারতীয় রেল নিত্যদিন ২ কোটি যাত্রী পরিবহন করার ক্ষমতা রাখে। আগামী ১৭ মে, ৫৪ দিনের মাথায় শেষ হবে তৃতীয় দফার লকডাউন। তারপর ধীরে ধীরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ান হবে বলেই সূত্রের খবর।