মহারাষ্ট্রের থানের জেলার ডাম্বিভালি থেকে বৃহস্পতিবার উদ্ধার হয় ৫৬ বছরের এক প্রৌঢ়ের দেহ। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রহস্যের উন্মোচন হয়েছে বলে দাবি করল পুলিশ। ঘটনায় ইতিমধ্যে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন কোপরি এলাকার বাসিন্দা উমেশ পাতিল। ৫৬ বছরের উমেশ আগে মুম্বই সেশন কোর্টে স্টেনোর কাজ করতেন। বর্তমানে নবি মুম্বই এলাকার একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করছিলেন তিনি। ডাম্বিভালির রেললাইলেন ধারে একটি ব্যাগের ভিতর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তে নেমেই প্রফুল পাওয়ার নামে ২৭ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। দু'জনের মধ্যে সমকামী সম্পর্ক ছিল বলেই দাবি করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে ছাদনাতলা হল ভিডিও কনফারেন্স, ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে-ই বিয়ে সারলেন দম্পতি
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে মাস ছয় আগে প্রফুলের সঙ্গে পাতিলের প্রথম আলাপ হয়, দ্রুত বন্ধু হয়ে ওঠেন দু'জনে। অবিবাহিত পাতিল মাঝমধ্যেই ডাম্বিভালিতে পাওয়ারের বাড়িতে গিয়েও থাকতেন। তাদের মধ্যে সমকামী সম্পর্কও তৈরি হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের।
তবে পাওয়ারের বিয়ের পরেই দুজনের সম্পর্কে ভাঙন ধরে। উমেশ পাতিলকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন প্রফুল পাওয়ার। সম্পর্কের এই টানাপোড়েন ক্রমেই বাড়িতে থাকে। গত চার তারিখ পাতিল ফের হাজির হন পাওয়ারের বাড়ি। সেই সময় উমেশের স্ত্রী বাড়িতে ছিল না।
আরও পড়ুন: ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ফিক্সড ডিপোজিটে কমছে সুদের হার, সস্তা হচ্ছে স্টেট ব্যাঙ্কের গৃহঋণ
প্রথম থেকেই ঝগড়া শুরু হয় দুজনের। থানে ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর রাজকুমার কোঠমেরি জানিয়েছেন, উত্তেজিত পাওয়ার শ্বাসরোধ করে খুন করে প্রৌঢ় পাতিলকে। এরপর একটি বড় ব্যাগে দেহটিকে ভরে রেললাইনের ধারে ফেলে দিয়ে আসে।
তবে এই প্রথম নয় এর আগেও পুলিশের খাতায় নাম উঠেছিল প্রফুল পাওয়ারের। ২০১৩ সালে খুনের চেষ্টার অভিযোগে তার নামে মামলা দায়ের হয়।