আবারও হিংসার আগুন মণিপুরে, পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি

মণিপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে পেট্রোল বোমা নিয়ে হামলা উত্তেজিত জনতা। নিরাপত্তা রক্ষীরা রুখতে পারেনি ভাঙচুর।

 

Web Desk - ANB | Published : Jun 16, 2023 11:50 AM IST

হিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর। বৃহস্পতিবার রাতে ইম্ফলের কংবায় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী আরকে রঞ্জন সিংয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। এই রাজ্যে নতুন করে আরও ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহতের সংখ্যা ১০। বৃহস্পতিবার যখন মন্ত্রীর বাসভবনে হামলা চালান হয় সেই সময় সেখানে ৯ সিকিউরিটি এসকর্ট কর্মী, পাঁচ জন নিরাপত্তারক্ষী ও আটজন অতিরিক্ত রক্ষী ছিল।

মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে এক কমান্ডার বলেন, 'আমরা ঘটনাটি আটকাতে পারিনি। কারণ উত্তেজিত জনতা ছিল অপ্রতিরোধ্য। তারা ভবনের পিছনের বাইলেন থেকে সামনের প্রবেশদ্বারে সবদিক ঘিরে রেখে একের পর এক পেট্রোল বোমা ছুঁড়েছে। তাই আমরা কিছুই করতে পারিনি।' মণিপুরে এই হিংসায় এই নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটল। এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাডিতে হামলা চালান হয়েছিল মে মাসে। সেই সময় উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালান হয়েছিল।

মণিপুরে মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসায় এপর্যন্ত ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আগত হয়েছে ৩১০ জন। রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারপরেও দফায় দফায় আশান্তি চলছে মণিপুরে। পুরোপুশি শান্তি ফিরছে না এই পাহাড়ি রাজ্যে।

মণিপুরে শান্তি ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কুকি ও মেইতি উপজাতির মধ্যে কী করে শান্তি স্থাপন করা যায় তারই ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করছিলেন তিনি। আলোচনা করছিলেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে। বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও কথাবার্তা চালাচ্ছিলেন তিনি।

যদিও এর আগে কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা। আটকে রাখা হয়েছিল মণিপুরের মন্ত্রীকেও। মণিপুরের পরিস্থিতি দেখতে সেখানে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। যত দিন যাচ্ছে মণিপুরের পরিস্থিতি ততই হাতের বইরে চলে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের অগ্রাধীকার। মণিপুরে শান্তি বিঘ্নিত করে এমন কোনও কার্যকলাপ নিরাপত্তা বাহিনী যাতে কড়াভাবে মোকাবিলা তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অমিত শাহ। অমিত শাহ মণিপুর পুলিশ, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ও ভারতীয় সেনা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই কথা জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েও অমিত শাহ একই কথা জানিয়েছে। এদিন তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছে রাজ্যের উত্তয়ন আর শান্তিকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ

'অভিষেক ২ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করে', কাকদ্বীপ থেকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিরোধীদের তোপ মমতার

নজিরবিহীন রায় কলকাতা হাইকোর্টের, বসিরহাটের বিজেপির ৬০ প্রার্থীর মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানোর নির্দেশ

দেশে দাঙ্গার সংখ্যা ক্রমশই নিম্নগামী, NCRB -র তথ্য তুলে ধরলেন মোদী সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য

Share this article
click me!