পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেড়াতে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে কুর্ণিশ সাংসদের

  • দেশে লকডাউনের মেয়াদ ১৭ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে
  • এই সময়ে রেল-বিমান পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে
  • কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র
  • প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সেলাম জানালেন সাংসদ

Asianet News Bangla | Published : May 2, 2020 6:50 AM IST / Updated: May 02 2020, 01:05 PM IST

করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ভারতে একমাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে লকডাউন। দেশের নানা প্রান্তে আটকে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিক, পুণ্যার্থী, পর্যটক এবং পড়ুয়াড়া। এবার তাঁদের ধরে ফেরাতে বিশেষ ট্রেন চালানোর অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক, ভিন রাজ্যে আটকে থাকা পড়ুয়া ও পর্যটকদের নিজেদের রাজ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে। 

রেড জোনের সংখ্যা নিয়ে বিরোধ, সংশোধিত তালিকা দাবি করে কেন্দ্রকে চিঠি বাংলার স্বাস্থ্যসচিবের

করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে রেমডেসিভির, অনুমোদন দিয়ে দিল মার্কিন প্রশাসন

আশা-আশঙ্কার দোলাচলে দেশ, ২ সপ্তাহে রেড জোন কমলেও বাড়েনি করোনামুক্ত গ্রিন জোনের সংখ্যা

ভিন্ রাজ্যে আটকে পড়া মানুষদের বাড়ি ফেরাতে, সম্প্রতি বাসের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু  বাসের পাশাপাশি ওই সমস্ত মানুষদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালানোর দাবি উঠছিল। সেই দাবি মেনেই শুক্রবার নয়া নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাতে বলা হয়, ভিন্ রাজ্যে আটকে পড়া মানুষদের ফেরাতে রেল মন্ত্রককে বিশেষ ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হল। এ ব্যাপারে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তুলতে বলা হয়। 

শুক্রবার শ্রমিক দিবসের দিন যাত্রা শুরু করেছে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। প্রথম স্পেশাল ট্রেনটি রাতেই ১২২৫ জন শ্রমিককে নিয়ে তেলেঙ্গনার লিঙ্গমপল্লি থেকে ঝাড়খণ্ডের হাতিয়ায় পৌঁছয়। ২৪ কামরার ওই ট্রেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়ছিল। এমনিতে প্রতি কামরায় ৭২ জন করে যাত্রী তোলা হলেও, এই ট্রেনে ৫৪ জন করে যাত্রী তোলা হয়। ট্রেনে তোলার আগে পরীক্ষা করে দেখা হয় প্রত্যেক যাত্রীকে। গোটা ট্রেনকেও জীবাণুমুক্ত করা হয়।

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেরলের এরনাকুলাম থেকে ওড়িশার ভুবনেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেয় আরও একটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। পয়লা মে এরকম মোট ৬টি স্পেশাল ট্রেন চালান হয়। শুক্রবারই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে দেশে লকডাউনের মেয়াদ আরও ২ সপ্তাহ বাড়ান হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে বিমান থেকে রেল, বাস চলাচল সব কিছু বন্ধ থাকবে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও লকডাউনের জেরে ঘরে ফিরতে না পারা শ্রমিক, তীর্থযাত্রী, পর্যটক, ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের রাজ্যে ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এজন্য প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে ভোলেন রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর। 

 

প্রধানমন্ত্রীকে কুর্ণিশ জানানোর পাশাপাশি দেশের নানা প্রান্তে আটকে পড়া মানুষগুলি যাতে সুস্থ ভাবে ঘরে ফিরতে পারেন নিজের ট্যুইটে সেই প্রার্থনাও করেছেন রাজ্যসভার সাংসদ। এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককেও।

Share this article
click me!