
বিজেপি এবং তার সহযোগীরা কেন্দ্রে NDA সরকার গঠন করেছে। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণও। কিন্তু মোদী সরকার ৩.০ গঠনের ২ দিনের মধ্যেই NDA-র শরিকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। যে শরিকদের ওপর ভরসা করে গঠন করা হয়েছে এনডিএ সরকার, সেই শরিকরা সরে গেলে যে সোজা মাটিতে পড়বে সরকার, এমনকী পদত্যাগ করতে হবে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে, সেরকম সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যেতে পারে। সমস্ত টালবাহানার অবসান ঘটিয়ে তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সুদিন কি আর থাকবে না!
কী হতে চলেছে?
মোদী সরকার ৩.০ গঠনের ২ দিনের মধ্যেই NDA-র শরিকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। মোদী মন্ত্রিসভা ৩.০-তে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণে এখন ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের রীতিমতো রাজনীতি উত্তপ্ত। উল্লেখ্য যে, শিবসেনা (শিন্দে গোষ্ঠী) ও NCP (অজিত পাওয়ার) ইতিমধ্যেই মন্ত্রী পদ বণ্টনের পরে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করছে। এখন ঝাড়খণ্ডে NDA-এর মিত্র AJSU-ও প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
AJSU সাংসদ চন্দ্রপ্রকাশ চৌধুরী, যিনি টানা দ্বিতীয়বার ঝাড়খণ্ডের গিরিডিহ লোকসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছেন, তিনিও মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ। মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার বিষয়টিকে তিনি “দুর্ভাগ্যজনক” হিসেবে অভিহিত করেছেন। চৌধুরীর মতে, সমস্ত দলকে যথাযথ সম্মান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এদিকে, AJSU প্রধান সুদেশ মাহাতো এখনও এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো বিবৃতি দেননি।
অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন NCP-ও ক্ষুব্ধ বলে জানা গেছে। এবার প্রফুল্ল প্যাটেলকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করার কথা থাকলেও NCP স্বতন্ত্র দায়িত্ব নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর পদ পায়। যা তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। NCP ক্যাবিনেটের নিচে কিছুই চাইছেনা। প্রফুল্ল এর আগেও ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, NCP ৪ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। কিন্তু বিজয় অর্জিত হয়েছে মাত্র ১ টি আসনে। এমতাবস্থায়, পদের অফার পাওয়ার পর প্রফুল্ল প্যাটেল জানিয়েছেন, তিনি আগে যখন মন্ত্রিসভায় ছিলেন, এখন কেন তাঁর “ডিমোশন” হবে? এদিকে, জিতন রাম মাঞ্জিও NCP-র অসন্তোষের কারণ। যাঁকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।