২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর পাটনার গান্ধী ময়দানে জনসমাবেশের আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
সালটি ছিল ২০১৩। নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ভাষণের আগেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বিহারের পাটনার (Patna Blast) গান্ধী ময়দান। সেই ঘটনায় নিহত হয়েছিল ৬ জন। আহতের সংখ্যা ছিল ৮৯। সেই মামলা সোমবার জাতীয় তদন্ত সংখ্যা এনআইএ- বিশেষ আদালত (NIA Special Court) চার জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে। দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থাৎ ২-১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে। আর এক জনকে সাত বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর এনআইএ (NIA)বিশে ষ আদালত এই পাটনা বিস্ফোরণ মামলায় ১০ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। এদিন দোষীদের সাজা শোনান হয়।
২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর পাটনার গান্ধী ময়দানে জনসমাবেশের আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময় ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের জন্য গোটা ভারতজুড়েই তিনি প্রচারের গেরুয়া শিবিরের প্রধান মুখ ছিলেন। গান্ধী ময়দানে হুংকার ব়্যালির আয়োজন করা হয়েছিল। সমাবেশে নরেন্দ্র মোদীর আসার কিছু বিস্ফোরণ হয়েছিল। মঞ্চ থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরে পরপর দুটি বিস্ফোরণ হয়। শেষ বিস্ফোরণটি হয়েছিল মোদীর মঞ্চে ওঠার মাত্র ২০ মিনিট আগে। অন্যদিকে তারও কিছুআগে পাটনা রেল স্টেশনে একটি বিস্ফোরণ হয়েছিল। তদন্তে জানা যায় দুটি বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী ছিল নিষিদ্ধ স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া বা সিমি। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের রাঁচির মডিউল এই বিস্ফোরণ করেছিল। গত সপ্তাহে এনআইএ-র বিশেষ আদালত ধারাবাহিক বিস্ফোরণের এই মামলায় ১০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় একজনকে বেকুসুর খালাস করে দেওয়া হয়।
PM in Glasgow: নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে অভিভূত, কী বললেন প্রবাসী স্কটরা জেনে নিন
Record GST collection: জিএসটি সংগ্রহে রেকর্ড, পশ্চিমবঙ্গ ছাপিয়ে গেল গত অক্টোবরকেও
এনআইএ-র আইনজীবী ও বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর লালন প্রসাদ সিং সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, তদন্তে ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন নাবালক ছিল।সেটি বিচারের জন জুভেনাইল বোর্ডে পাঠান হয়েছিল। বাকিদের বিচার এনআইএ-র আদালতে হয়। মামলা যারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে তারা হল ইমতিয়াজ আনসারি, মুজিবুল্লাহ, হায়দার আলি, ফিরোজ আসলাম, ওমর আনসারি, ইফতেখার, আহমেদ হোসেন, উমায়ের সিদ্দিকি আর আজহারউদ্দিন। ফফরুদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করেনি আদালত।