সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে নিয়মিত প্রাপ্য বয়েকা হিসেবে আইজিএসটি খাতে সংগ্রহ থেকে সিজিএসটি বাবদ ২৭ হাজার ৩১০ কোটি টাকা ও এসজিএসটি বাবদ ২২ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা মিটিয়েছে।
রেকর্ড জিএসটি (GST collection) সংগ্রহ হয়েছে চলতি মাসে। সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর (October) মাসে জিএসটি বাবদ রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ১২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সিজিএসটি বাবাদ ২৩ হাজার ৮৬১ কোট্ টাকা এসজিএসটি বাবদ ৩০ হাজার ৪২১ কোটি টাকা আইজিএসটি খাতে ৬৭ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা যার মধ্যে পণ্য সামগ্রী আমদানি থেকে ৩২ হাজারেরও বেশি টাকা সংগ্রহ হয়েছে। অন্যদিকে সেস ( Cess ) বাবদ ৮ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে।
Girl Abused: জিন্স পরায় গলা ধাক্কা , দোকারদারের প্রশ্নে নাজেহাল এক তরুণী
কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে নিয়মিত প্রাপ্য বয়েকা হিসেবে আইজিএসটি খাতে সংগ্রহ থেকে সিজিএসটি বাবদ ২৭ হাজার ৩১০ কোটি টাকা ও এসজিএসটি বাবদ ২২ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা মিটিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসে প্রাপ্য বকেয়া মেটানোর পরে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মোটি রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সিজিএসটি বাবদ ৫১ হাজাপ ১৭১ কোটি টাকা। ও এসজিএসটি বাবদ ৫২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।
চলতি বছর অক্টোবর মাসে জিএসটি বাবদ রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অক্টোবরের তুলনায় প্রায় ২৪ শতাংশ বেশি। জিএসটি ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার পরে গত অক্টোবর মাসে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। চলতি এপ্রিল মাসে এই সংগ্রহণের পরিমাণ এই পর্যন্ত সর্বোচ্চে পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এই থেকেই বোঝা যাচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ-এর সময় প্রতি মাসে যে পরিমাণ ই-ওয়ে বিল তৈরি হয়েছে তা থেকেই রাজস্ব সংগ্রহ যে বাড়ছে তা বোঝা যাচ্ছে।
রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধির আরও একটি কারণ হল বিগত মাসগুলিতে কর মান্যতার ক্ষেত্র রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কর প্রশাসনগুলির বিশেষ প্রয়াস। ব্যক্তিগত কর প্রতারকদের বিরুদ্ধে যে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার পেছনে রয়েছে জিএসটি পরিষদজের বিবিধ ব্যবস্থা। এছাড়াও জিএসটি পরিষদ পুরনো রিটার্ন দাখিল ও আপটু ডেথ রিটার্ন দাখিলের ভক্ষেত্রে লেট ফি বা বিলম্ব মাশুল জনিত পরিস্থিতিতে কর মান্যতার ক্ষেত্রে যে সমস্ত সুযোগ সুবিধে দেওয়া হয়েছে তার প্রেক্ষিতে গত জুলাই মাসেই দেড় কোটি রিটার্ন দাখিল হয়েছে। মন্ত্রকের পরিসংখ্যন অনুযায়ী সদ্যসমাপ্ত অক্টোবর মাসে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ৪ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা। যা গত বছর অক্টোবরের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি।