শনিবার মহাত্মা গান্ধীর ১৫২ তম জন্মবার্ষীকি। ' আমি গান্ধী জয়ন্তীতে শ্রদ্ধেয় বাপুকে প্রণাম জানাই' রাজঘাটে 'জাতির জনক'-কে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট টুইট মোদী-শাহ-কোবিন্দের।
শনিবার মহাত্মা গান্ধীর ১৫২ তম জন্মবার্ষীকি ((Gandhi Birth Day) । উল্লেখ্য, দেশ জুড়েই এদিন গান্ধী জয়ন্তী (Gandhi Jayanti) পালিত হচ্ছে। ' গান্ধী জয়ন্তীতে শ্রদ্ধেয় বাপুকে প্রণাম জানাই।' এদিন রাজঘাটে (Rajghat) 'জাতির জনক'-কে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister Narendra Modi)। মোদীর পাশাপাশি এদিন গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন (Minister of Home Affairs ) স্বরাস্ট্রমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতিও(President of India)।
গান্ধী জয়ন্তীতে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন,' আমি গান্ধী জয়ন্তীতে শ্রদ্ধেয় বাপুকে প্রণাম জানাই। তাঁর মহৎ নীতিগুলি বিশ্বব্যাপী প্রাসঙ্গিক এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে শক্তি দেয়।' দিল্লির রাজঘাটে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ্প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন সারা দেশ গান্ধীর ১৫২ তম জন্মজয়ন্তী পালন করছে। এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও বাপুকে শুভেচ্ছা জানান এবং গান্ধী জয়ন্তীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। টুইটারে নিয়ে গিয়ে কোবিন্দ বলেন, 'গান্ধীজয়ন্তীতে বাপুকে শ্রদ্ধা। গান্ধীজীর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকে স্মরণ করার জন্য এটি সমস্ত ভারতীয়দের জন্য একটি বিশেষ দিন। আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে আমরা ভারতকে গান্ধীজির স্বপ্নের দেশে পরিণত করার চেষ্টা চালিয়ে যাব। তাঁর শিক্ষা, আদর্শ এবং মূল্যবোধের প্রতি অনুগত।' উল্লেখ্য, উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু রাজঘাটে আয়োজিত সর্বধর্ম প্রার্থনা সভায় যোগ দিয়ে গান্ধীজীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। তিনি গান্ধীজিকে শান্তি-অহিংসার প্রেরক এবং নিঃস্বার্থ সেবা, দয়া ও সহানুভূতির প্রতীক হিসাবে সর্বজন শ্রদ্ধেয় বলে অভিহিত করেন।
অপরদিকে গান্ধীজয়ন্তীতে বাপুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেছেন অমিত শাহও। শাহ বলেন, 'মহাত্মা গান্ধীর মহান জীবন ছিল একটা ধারাবাহিক জাতীয় আত্মত্যাগের মতো। যা সমগ্র বিশ্বকে শান্তি ও অহিংসার পথে চলতে অনুপ্রাণিত করেছে। গান্ধীজীর স্বদেশী, স্বভাষা এবং স্বরাজের ধারণা দীর্ঘদিন দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করতে থাকবে। গান্ধী জয়ন্তীতে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই', বলে বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন ইউনাইটেড নেশানের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এদিন টুইট করে বলেছেন,'এই আন্তর্জাতিক অহিংস দিবসে - গান্ধীর জন্মদিন - আসুন আমরা তার শান্তির বার্তা শুনি, এবং সকলের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যত গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই।
প্রসঙ্গত, ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর গুজরাটের পোরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন গান্ধীজি। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অসামান্য অবদান আছে। প্রতিবছর ২ অক্টোবর এই মহান দেশনেতার জীবন এবং অবদানকে স্মরণ করতে এবং সম্মান জানাতে গান্ধী জয়ন্তীর দিন জাতীয় ছুটি হিসাবে পালন করা হয়।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা