প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে বিজেপির এক নেতা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার জন্য যে তিনটি নির্বাচনী এলাকা বাছা হয়েছে তার পিছনে রয়েছে কৌশলগত কারণ।
পশ্চিমবঙ্গ থেকেই লোকসভা ভোটে ডঙ্কা বাজাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার দুই দিনের সফরে নরেন্দ্র মোদী বঙ্গে আসছেন। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই টানা তিনটি জনসভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রথম দফায় নরেন্দ্র মোদী হুগলির আরামবাগ ও নদিয়ার কৃষ্ণনগরে জনসভা করবেন। পরে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনে মোদীর সভা উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী সন্দেশখালির যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
এদিনই দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারেন। প্রথম দফায় প্রায় ১২৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। তালিকায় থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী , অমিত শাহের মত হেভিওয়েট প্রার্থীদের নাম। মোট কথা মার্চ মাসের প্রথম দিন থেকেই লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ -এ জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়বে বিজেপি। চলতি মাসের প্রথম দিকেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন- তেমনই বলছে সূত্রে। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে হতে পারে ভোট গ্রহণ। ফলপ্রকাশ হতে পারে মে মাসে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে বিজেপির এক নেতা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার জন্য যে তিনটি নির্বাচনী এলাকা বাছা হয়েছে তার পিছনে রয়েছে কৌশলগত কারণ। রাজ্যে তৃণমূলের জমানায় মহিলা নির্যাতন বেড়েছে। তারই বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ রাজ্যের মহিলাদের ওপর হওয়া নির্যাতনের অভিযোগ তুলে লোকসভা নির্বাচনের আসরে নামতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আর বাংলা থেকেই প্রধানমন্ত্রী ভোট প্রচার শুরু করতে পারেন বলেও দাবি করছে বিজেপি।
বিজেপির অন্য এক নেতা জানিয়েছেন, প্রথমে আরামবাগ ও কৃষ্ণনগরকে বেছে নেওয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য। কিন্তু পরবর্তীকালে সন্দেশখালির মহিলারা নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হয়েছেন। এই এলাকায় মহিলা নির্যাতনের মূল অভিযুক্ত সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তাই পরবর্তীকালে মোদীর সফরসূচীতে বারাসতের নাম যোগ করা হয়েছে।
বাংলা থেকে লোকসভা নির্বাচনে ৩৫টি আসন পেতে হবে বলে সীমা বেঁধে দিয়েছেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ। সেই তালিকাতে ছিল আরামবাগ ও কৃষ্ণনগরের নাম। কিন্তু বিজেপির একটি অংশ মনে করছে সন্দেশখালিও শক্ত ঘাঁটি হতে পারে বিজেপির। তাই এই আসনটি জয়ের লক্ষ্যে মরিয়া চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। শুভেন্দ থেকে সুকান্ত রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতারা সন্দেশখালিতে গিয়ে আন্দোলন করেছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছেন সেখানে। তাই সন্দেশখালি আসনকেও বিজেপি টার্গেট করেছে।
Ramdev:'চোখ বন্ধ করে বসে আছে...' পতঞ্জলির মিথ্যা বিজ্ঞাপন নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের নিশানায় কেন্দ্র