কেরলের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রবিবার সকাল থেকে এক জোট হয়ে কাজ করছে সেনাবাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ ও দমকল।
প্রবল বৃষ্টি (Heavy Rain) আর ভূমিধসে (Landslide) বিপর্যস্ত কেরল (Kerala)। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হয়েছে। বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। নিহতে ২৬ জনের মধ্যে ১৩ জনই কোটায়াম জেলার বাসিন্দা। ৯ বাসিন্দা ইদুক্কির আর আলাপুঝা জেলার বাসিন্দা ৪ জন।
Bangladesh: দূর্গা পুজো ঘিরে আশান্তির প্রতিবাদ, ৬ ঘণ্টার অনশন ও অবস্থান কর্মসূচির ডাক সংখ্যালঘুদের
কেরলের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রবিবার সকাল থেকে এক জোট হয়ে কাজ করছে সেনাবাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ ও দমকল। কোটায়াম আর ইদুক্কি জেলায় প্রবল বৃষ্টির পর ভূমিধস হয়েছিল। সেই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার কাজ ও তল্লাশি অভিযানও শুরু হয়েছে। স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন উদ্ধারহওয়া মৃতদেহের মধ্যে তিনটি শিশু রয়েছে। যারা মৃত্যুর পরেও একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ছিল। উদ্ধারকাজের পাশাপাশি ত্রাণ বিলিও চলছে সমানতালে। সেনাকর্মীদের একটি দল ওষুধ ও ত্রাণ নিয়ে ওয়াইনাডে পৌঁছেছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে শনিবার থেকেই মালাপ্পুরম, আলাপ্পুঝা, এর্নাকুলাম, ত্রিসুরে কাজ করছে তাদের জলগুলি।
প্রধাননন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। কেরলের ভারী বৃষ্টিপাত আর ভূমিধস নিয়েও আলোচনা করেছেন তিনি। বিপর্যস্ত কেরলকে সবরকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। প্রাকৃতিক দূর্যোগে নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Terrorist Attack: জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, বিহারের ২ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা
বাড়িতে কিলবিল করছে বিষধর সাপ, রেটলস্নেক ধরতে গিয়ে রীতিমত কালঘাম ছুটে গেল
অন্যদিকে স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, কেরলের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের বিপর্যস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ শুরু করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধার অভিযানে কেন্দ্র সররকম সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছেন অমিত শাহ। অন্যদিকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন দুর্যোগ কবলিত এলাকায় ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। কোভিড আচরণবিধি মেনেই ক্যাম্পগুলি কাজ করছে।