ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, তবে কি আর বেশি দূরে নেই কোভিডের টিকা

ভ্যাকসিন সরবরাহ, বিতরণ এবং প্রশাসনিক কাজকর্মের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা

দেশের উদ্ভাবক, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, এবং ওষুধ তৈরির সংস্থাগুলির প্রশংসা করলেন মোদী

তবে কি আর বেশি দূরে নেই ভ্যাকসিন

 

amartya lahiri | Published : Nov 21, 2020 3:57 AM IST

ভারতের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ, বিতরণ এবং প্রশাসনিক কাজকর্মের প্রস্তুতির পর্যালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার তিনি এই বিষয়ে মুখ্য সচিব, মন্ত্রিসভার সচিব, নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সদস্য, মুখ্য বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা, স্বাস্থ্য সচিব, সেক্রেটারি হেলথ, আইসিএমআর-এর ডিজি, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিবদের নিয়ে বৈঠক করেন। জানা গিয়েছে, ভারতের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট প্রধানমন্ত্রী দেশের উদ্ভাবক, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, এবং ওষুধ তৈরির সংস্থাগুলির প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। তাঁদের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত গবেষণা, উন্নয়ন ও উত্পাদনের সুবিধার্থে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।

অগ্রাধিকারের নীতি মেনে ভ্যাকসিনগুলি যাতে ভারতের সব অঞ্চলে সমনভাবে পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।  প্রথমেই টিকা দেওয়া হবে স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুক্ত ব্যক্তিবর্গ এবং অন্যান্য ফ্রন্টলাইন কর্মীদের। এর জন্য তাদের ডাটাবেস তৈরি করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কোল্ড চেইন বৃদ্ধি, সিরিঞ্জ-সূঁচ ইত্যাদি সরঞ্জাম সংগ্রহের কাজ চলছে। সেইসঙ্গে টিকা দেওয়ার জন্য মেডিকেল ও নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষকদের এই টিকা কার্যক্রমের প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োগের ভার দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিনের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ও বিতরণের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে রাজ্য এবং জেলাগুলির সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন - শনিবার পিডিপিইউ-এর সমাবর্তনে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

আরও পড়ুন - করোনাভাইরাসের টিকার দাম ১ হাজার টাকা, অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক নিয়ে একগুচ্ছ তথ্য দিলেন সেরাম কর্তা

আরও পড়ুন - জুলাইয়ে ২৫ কোটি মানুষ করোনা প্রতিষেধক পাবেন, আশার আলো দেখালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী

কোভিড -১৯ টিকার গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য সরকার কোভিড সুরক্ষা মিশনের আওতায় ৯০০ কোটি রুপি সহায়তা দিয়েছে। জানা গিয়েছে অন্তত পাঁচটি ভারতীয় টিকার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে ৪ টি রয়েছে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় পর্যায়ে, এবং অপরটি প্রথম পর্যায়ে। বাংলাদেশ, মায়ানমার, কাতার, ভুটান, সুইজারল্যান্ড, বাহরিন, অস্ট্রিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ, এই ভারতীয় ভ্যাকসিনগুলির বিকাশে অংশ নিতে এবং পরবর্তীকালে সেগুলি সংগ্রহ করার জন্য গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে।

Share this article
click me!