একটা সময় ভারতের তৎকালীন সেনা প্রধান কৃষ্ণাস্বামী সুন্দররাজন বলেছিলেন, এক সুবর্ণ সুযোগ হারাচ্ছে ভারত। যে কংগ্রেসের সুবাদে সুন্দরজী আজও এক বিতর্কিত সেনা প্রধান। সেদিন তাঁর কথা শুনলে হয়তো চিন ঘাড়ের উপর চেপে বসতে পারত না বলেই মত অনেকের।
২৮ এপ্রিল ভারতের প্রাক্তন সেনা প্রধান কৃষ্ণাস্বামী সুন্দরারাজন-এর জন্মদিন। তার আগে ফের একবার দেশের এই বিতর্কিত সেনাপ্রধানের দূরদর্শিতাকে তুলে ধরলেন সঞ্জয় চতুর্বেদী। টুইটারে একের পর এক থ্রেড-এ তিনি বহু কথা লিখেছেন সকলের পছন্দের সুন্দরজী-কে নিয়ে। দাবি করেছেন, সুন্দরজীর দূরদর্শিতাকে সেদিন নিজের হাতে খুন করে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। চিনের চোখ রাঙানিতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে গিয়ে কীভাবে রাজীব পুরো রণকৌশলকে ধুলিসাৎ করে দিয়েছিলেন তার কাহিনি এই টুইটার থ্রেডে তুলে ধরেছেন সঞ্জয়।
সঞ্জয় লিখছেন, 'সালটা ১৯৮৬, তখতে তখন রাজীব গান্ধী সরকার। ইন্দিরা গান্ধী হত্যার আবেগকে হাতিয়ার করে ২ বছর সরকার চালিয়ে নিয়েছেন রাজীব গান্ধী। এমনকী ৩ দশক ধরে স্থবির হয়ে থাকা অর্থনীতিতেও ৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। দেশজুড়ে তখন এক খুশির বাতাবরণ। রাইসিনা হিলসের করিডরে ঘোরাফেরা করা কংগ্রেস নেতারা তৈরি হচ্ছেন আরও এক নির্বাচনের জন্য। তবে এই সময় তখনও বোফর্স কেলেঙ্কারি সামনে আসেনি এবং রাজীব গান্ধীও কলঙ্কিত হননি।'
সঞ্জয় এরপর আরও লিখেছেন যে, ' তারিখ ২ মে, ১৯৮৬। সকালবেলায় নয়াদিল্লিতে সেনা-র সদর দফতরে মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের ঘরের টেলিফোনটা বেজে উঠল। এটা কোনও একটা সাধারণ ফোনকল ছিল না। আসলে ফোনটা এসেছিল আইবি-র কাছ থেকে। ফোনে আইবি তাদের ইনটেলিজেন্স ইনপুটে জানায় যে, চিন অরুণাচল প্রদেশের ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে নিয়েছে। আর সেই সঙ্গে রসদ ও সেনার সংখ্যা বাড়াচ্ছে। অনেকটা ১৯৬২ সালের মতো যুদ্ধ করে কিছুটা ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে নেওয়া। আইবি-র এই বার্তা দ্রুত জানানো হয় সেনাপ্রধান কৃষ্ণাস্বামী সুন্দরজীকে। সেই সময় সেনাবাহিনীর সাধারণ ধ্যান-ধারনায় বিশ্বাস ছিল না সুন্দরজীর। তিনি সারাক্ষণই নিজের মতো করে কিছু করার কথা ভাবতেন। পরিবারের প্রথম সন্তন হিসাবে তিনি সেনাবাহিনীতে নাম লিখিয়েছিলেন। অথচ বাবা ছিলেন ফিজিক্স ও অঙ্কের শিক্ষক। এমনকী মেধাবী সুন্দরজী ডাক্তারি পড়ার সুযোগ ছেড়ে সেনাবাহিনীতে এসেছিলেন কিছু প্রমাণ করে দেখাতে।'
'সেনাবাহিনীতে একজন সুদক্ষ রণকৌশল বিশারদ এবং বুদ্ধিদীপ্ত পুরুষ হিসাবে খ্যাতি পেয়েছিলেন। তখন তিনি ছিলেন ব্রিটিশ আর্মি-র শেষ অফিসার যিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এসেছিলেন এবং সেনাপ্রধানও হয়েছিলেন। অরুণাচলে চিনের আগ্রাসন ও ভূখণ্ড দখল করার কথা শুনেই রণকৌশল বানাতে শুরু করে দিয়েছিলেন সুন্দরজী। চিনের পিএলএ বাহিনী তখন অরুণাচলে থিয়াগ-লা রিজে বসে, আর তারা অরুণাচলকে সাউথ তিব্বত বলে বিশ্বের কাছে সওয়াল করছিল। সেই সময় সুন্দরজী এক সুন্দর চাল চালেন। তৎকালীন মেজর জেনারেল জে এম সিং-এর অধীনে সেনাবাহিনীর একটি মাউন্টেনিং ডিভিশনকে অরুণাচল প্রদেশে পাঠিয়ে দেন। সেইসঙ্গে সেনাবাহিনীর ৩৩ নম্বর ইউনিটকে অরুণাচলে পাঠাতে নির্দেশ দেন। এরপর ৪ মাস ধরে অরুণাচলে চিনের লাল ফৌজের সঙ্গে চোখে চোখ মিলিয়ে রেখেছিল ভারতীয় জওয়ানরা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এমন স্পর্ধা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিল তৎকালীন কংগ্রেস কেন্দ্রীয় সরকারের। চিন জানতো যে অরুণাচলে সেনাবাহিনীর কাছে রেশন পৌঁছে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সাপ্লাই নেই। কারণ, যে এলাকায় চিনের লাল ফৌজ ঢুকেছিল সেখানে পোঁছানোর মতো সড়কপথ তখন ভারতের কাছে ছিল না। চিন তৈরি হচ্ছিল আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই আগ্রাসনকে ইন্ডিয়ান ব্লাফ বলে হাসির খোরাক করতে। কিন্তু সুন্দরজীর রণকৌশল ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিনের লালফৌজের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা জওয়ানদের। শীতকাল শেষ হতেই ভারতকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে তৈরি হয় চিন। শীতকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে রসদ পৌঁছে দেওয়ার কোনও রাস্তা ছিল না। কোনও মতে পাহাড়ি রাস্তায় মুঠেদের পিঠে চাপিয়ে রসদ পৌঁছানো হচ্ছিল। কিন্তু তুলনায় চিন ছিল অনেক শক্তিশালী। তারা যে কোনও আবহাওয়াতেই বাহিনীর কাছে রসদ পৌঁছে দিতে ছিল দক্ষ। অদ্ভুতভাবে এই সময় সুন্দরজী কোথাও কোনও সাক্ষাৎকার দেননি। চুপ করেছিলেন প্রায় ছয় মাস। বরং এই সময় তিনি তৈরি করছিলেন এমনক রণকৌশল যার আন্দাজ কেউ করতেই পারেননি। অরুণাচলের জন্য বেছে বেছে বাহিনীকে তিনি এই সময়টায় তৈরি করছিলেন। চিনকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার দুরন্ত সাহসিকথা দেখিয়েছিলেন তিনি।
১৯৮৭ সালের বসন্তকাল চলে এল। তবু অরুণাচলে চিন ও ভারতীয় সেনারা একে অপরের দিকে চোখ রাঙিয়েই বসে আছে। কোনও পক্ষই সাড়া শব্দ করছে না। এর কিছুদিন পরে এবার এক কৌশলী চাল দেন সেনাপ্রধান সুন্দরজী। যাকে ঘিরে চিনের লাল ফৌজের মধ্যে ত্রাহি রব ওঠে। পরিস্থিতি ফের অশান্ত হয়ে ওঠে। রাতারাতি সদ্য সেনাবাহিনীতে আসা রুশ এমআই-১৭ হেলিকপ্টার এবং পুরনো এমআই-৮ হেলিকপ্টারকে কাজে লাগিয়ে ১০ হাজার বাহিনীকে চিনের লাল ফৌজের সামনে মোতায়েন করেন। আর এদের পজিশন করেন চিনের লালফৌজকে ঘিরে সমস্ত পাহাড়ের শৃঙ্গে। যার ফলে পাহাড়ের মাথায় বসে থাকা ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক্কেবারে নাগালের মধ্যে তখন লালফৌজ। ওই পাহাড়ের চূড়া থেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনী সমানে মেগাফোন ও লাউড স্পিকার ব্যবহার করে চিনের লালফৌজকে সরে যেতে বলে। রোজ এই কাজ করতে থাকে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এর সঙ্গে মান্দারিয়ান ভাষায় চিনের লালফৌজকে উদ্দেশ্য করে টোন্ট টিটকিরিও করতে থাকে ভারতীয় জওয়ানরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় লালফৌজ। তাদের অনেকে এমন মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করতে শুরু করে। বেজিং-এর চনের দফতরেও পৌঁছায় এই খবর। এদিকে, দিল্লিতেও রাজীব গান্ধী এই বিষয়ে খুব একটা অবগত ছিলেন না। ফলে, সুন্দরজী বেশভালো করেই চিনকে শিক্ষা দেওয়ার কৌশলে কাজে লাগাতে অগ্রসর হয়েছিলেন। চিন বেশি কিছু করে উঠতে পারে, তার আগেই সুন্দরজী ফের একদল পদাতিক বাহিনীকে অরুণাচলে পাঠিয়ে দেন এবং নামকা চু ভ্যালিতে দখলদারি করান।
১৯৬২ সালের যুদ্ধে চিনের কাছে এই নাম কা চু ভ্যালি ভারত হেরে গিয়েছিল। আর এই ভ্যালি থেকেই অরুণাচলে ভারতের উপর দাদাগিরি ফলাত চিন। সুন্দরজী শুধু নাম কা চু ভ্যালি দখল করেই ক্ষান্ত হননি, তার আগে এমআই-৩৫ হেলিকপ্টার দিয়ে আক্রমণ শানিয়ে ও বোফর্স গান থেকে সমানো গোলাবর্ষণ করে চিনকে পিছু হঠতে বাধ্য করেন। মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে চিন অরুণাচলে তাদের ২৫ বছরের আধিপত্য হারিয়ে ফেলে। কিন্তু, রাজীব গান্ধীর কানে এই ঘটনা পৌঁছাতে বেশি সময় লাগেনি। বেজিং-এর মাধ্যমে রাজীব গান্ধীর কাছে তথ্য পৌঁছায়। কারণ, বেজিং-এ ভারতীয় রাষঅট্রদূতকে ডেকে এনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছিল। আর অবিলম্বে অরুণাচলে ভারতের পুনরুদ্ধার করা ভূখণ্ড থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। পুরেো ঘটনা জেনে রাজীব গান্ধী রেগে গিয়েছিলেন। তিনি সেনা প্রধান সুন্দরজীকে ডেকে পাঠান এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে নির্দেশ দেন চিনের সঙ্গে সমঝোতা করতে। কিন্তু, ভাবলেশহীনভাবেই সুন্দরজী দ্বর্থ্যহীন ভাষায় সেনা না সরানোর কথা বলেন এবং সেই সঙ্গে জানান, ভারতীয় বাহিনী এখন এমন পরিস্থিতিতে রয়েছে যেখানে একটু আক্রমণাত্মক হলেই চিনের কাছে থাকা আরও ১০ স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকার পুনর্দখল নেওয়া যেতে পারে। সুন্দরজীর লক্ষ্য ছিল তিব্বত রিজ পর্যন্ত ভূখণ্ডকে পুনরুদ্ধার করা। ১৯৬২ সালের আগে পর্যন্ত এগুলো ছিল ভারতের দখলে। সুন্দরজীর কথা শুনে সেখানে থাকা সকলেই হতভম্ভ হয়েছিলেন, রাজীব গান্ধী এক অদ্ভুত দৃষ্টি নিয়ে মেপে যাচ্ছিলেন সুন্দরজীকে।'
এরপর যা ঘটেছিল তা ভারতীয় রাজনীতির এক কলঙ্ক বলেই এই টুইটার থ্রেডে লিখেছেন সঞ্জয় চতুর্বেদী। তিনি আরও লিখেছেন, 'এটা প্রমাণ করেছিল যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের কোনও মেরুদণ্ডই নেই। সুন্দরজীকে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী বলেন সেনাবাহিনী নিয়ে দখল করা এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে। অনিচ্ছার সত্ত্বেও এটা করেছিলেন সুন্দরজী। তাঁর মিলিটারি অপারেশনস-এর একজন কর্মী পরে এই ঘটনার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বলেছিলেন, সুন্দরজী প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ও তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে বলেছিলেন- ভারত আজ এক সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করছে, এর প্রায়শ্চিত্ত একদিন করতেই হবে এবং তার জন্য কড়া মূল্য চোকাতে হবে। এবং সত্যি সত্যি দেখা যায় যে ২০১৭ সাল থেকে চিন ভারতীয় ভূখণ্ড বরাবর দখলদারি মানসিকতা শুধু বাড়ায়নি, ঘন ঘন ভারতীয় ভূখণ্ডের অনেকটা ভিতরে ঢুকে আসছে। সেই সময় রাজীব গান্ধী ও কংগ্রেস চিনের কাছ থেক প্রচুর প্রশংসা পেয়েছিলেন। কিন্তু, এই ঘটনার ৩৫ বছর পর এখন এটাই প্রশ্ন যে প্রাক্তন সেনাপ্রধান সুন্দরজীর সিদ্ধান্ত কি ঠিক ছিল? উত্তরে একটাই শব্দ আসবে হ্যাঁ। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির পাশাখেলার জন্য এখন গোটা দেশ তার মূল্য চোকাচ্ছে।
তবে প্রাক্তন সেনা প্রধান সুন্দরজীর সাহসিকতা শুধু চিনের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তিনি পাক জেনারেল জিয়াউল হক-কেও ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৮৭ সালে রাজস্থানে ইন্দো-পাক সীমান্তে ৫ হাজার সেনাকে দিয়ে দীর্ঘদিন মার্চ করিয়েছিলেন। তিনি প্রথম সেনা প্রধান যিনি খুল্লামখুল্লা পাকিস্তানের পরমাণু পরীক্ষা নিরিক্ষার তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন এবং কোনওভাবেই পাকিস্তানের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকা উচিত নয় বলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে বয়ান দিয়েছিলেন। এমনকী, ভারতের অবলিম্বে পরমাণু পরীক্ষা পুনরায় চালু হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন সুন্দরজী। ১৯৮৮ সালে তিনি পরমাণু পরীক্ষা নিয়ে যে পরিকল্পনা করেছিলেন তারই হাত ধরে ১৯৯৮ সালে পোখরানে পরমাণু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সবচেয়ে আশ্চর্যেরহ কথা সুন্দরজীর সোজাসাপটা জবাব এবং সাহসিকতা চিনকেও মুগ্ধ করেছিল। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর এক আমন্ত্রণ পেয়ে ১৯৯৩ সালে চিনে গিয়েছিলেন সুন্দরজী। সেখানে তৎকালীন পিএলএ প্রধান সুন্দরজীকে বলেছিলেন তাঁর এই প্রতিক্রিয়াহীন চেহারাকে সঙ্গী করে চিনে তিনি কোন খাবারটা খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করবেন। তৎক্ষণাৎ সপাটে উত্তর দিয়েছিলেন সুন্দরজী। বলেছিলেন, একজন ভারতীয় হিসাবে আমি পিকিং স্যুপ খেতে পছন্দ করব, কারণ চিনাদের খুব সহজেই ধরে ফেলা যায়। সুন্দরজীর এই উত্তর শুনে মুখ লাল করে সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন পিএলএ প্রধান।
বর্তমান সময়ে আজও সুন্দরজীকে একজন বিতর্কিত সেনাপ্রধান হিসাবে স্মরণ করা হয়। কারণ, সেই সময় কংগ্রেস এবং তাদের মদতপুষ্ট বিভিন্ন সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম সুন্দরজীকে বিতর্কিত বানিয়ে ছেড়েছিলেন। কারণ সুন্দরজীর একটাই দোষ ছিল যে তিনি রাজীব গান্ধীর দূবল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং দেশ বিরোধী নীতি নেওয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।'
লেখক পরিচিতি- সঞ্জয় চতুর্বেদী, সোশ্যাল সায়েন্সের একজন বিশারদ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে তিনি একাধিক লেখা লিখেছেন। বর্তমানে সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন সোশিও পলিটক্যাল ইস্যু নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন লিখেছেন তিনি। বর্তমানে ইন্ডিয়ান ওসান রিসার্চ গ্রুপ ইনকর্পোরেশন-এর চেয়ারম্যান তিনি।
আরও পড়ুন-
চিন নয়, ভারত এখন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ, এই পরিসংখ্যান বদলে দিল ইতিহাস
করোনার উৎস নিয়ে মার্কিন সেনেটে ৩২০ পাতার রিপোর্টে কাঠগড়ায় চিন
ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ছিটকে গেল চিন! আমেরিকার সাহায্যে নয়া রেকর্ড নরেন্দ্র মোদী সরকারের