২৬/১১ হামলার পর কেটে গেল ১২ বছর। কিন্তু এখনও সেই হামলার স্মৃতি জীবন্ত মুম্বইকারদের মধ্যে। গোটা দেশের মানুষ এই দিনটিতে এখনও স্মরণ দেশের নিরাপত্তারক্ষীদের আত্মত্যাগ। সেই বিশেষ দিনটিকে স্মরণ করে আরও একবার সংবেদনশীল বার্তা নেটিজেনদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন শিল্পপতি রতন টাটা।
করোনা রোধে ফিরতে পারে নাইট কার্ফু, সংক্রমণ রুখতে ১ মাসের নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের ..
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির কাজ কত দূর, খতিয়ে দেখতে শনিবার পুনে সফর প্রধানমন্ত্রীর ...
৮২ বছরের এই শিল্পপতি তাঁর নিজের ট্যুইটার ও ইন্টাগ্রামের শেয়ার করা বার্তায় বলেন যে, ২৬/১১ মুম্বই হামলার সঙ্গে জঙ্গিদের অন্যতম টার্গেট ছিস তাজ প্যালস হোটেল। রতন টাটার কথায় সেটি ছিল একটি ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা। কিন্তু তিনি বলেন সেদিনের সেই ধ্বংসলীলার মধ্যে দাঁড়িয়ে মুম্বইেয়র জনগণ একত্রিত হয়েছিলেন। যা সেদিনের সন্ত্রাস আর ধ্বংসকে জয় করতে সাহায্য করেছিল। রতন টাটার কথায়, আজ গোটা দেশ অবশ্যই সেদিন যা হারিয়েছে তার জন্য শোক করতে পারে। শত্রুদের জয় করতে সাহায্যকালী সাহসীদের আত্মত্যাগকে সম্মান করতে পরে। কিন্তু আমাদের যা উজ্জীবিত করে তা হল সেদিনের প্রকাশ হওয়া মানবিকাতা , সংবেদনশীলতা। আর সেগুলিকে পাথেয় করে আমাদের এগিয়ে চলতে হবে। আগামী বছরগুলিতেও সেগুলি জ্বলজ্বল করবে আমাদের মধ্যে।
মুম্বই হামলার সময় জঙ্গিদের অন্যতম নিশানা ছিল তাজ হোটেল। শতাব্দী প্রাচিন এই হোটেলটির মালিকানা রয়েছে টাটা গ্রুপের হাতে। সেদিও তাই ছিল। পরের বছরই জঙ্গি হামলায় নিহত ৩১ জন কর্মচারী ও অতিথির নাম সম্বলিত একটি স্মৃতিসৌধ উন্মোচন করেছিলেন রতন টাটা। ২৬ নভেম্বর ২০০৮ সালের জঙ্গি হামলায় লস্কর ই তৈবার ১০ সন্ত্রাসবাদী তাজ হোটেল,ওবেরয় হোটেল লিওপোল্ড ক্যাপে, ন্যারিম্যান হাউস, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনা-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালিয়েছিল। ৯ জঙ্গিকে নিকেশ করা হলেও জীবিত অবস্থায় পাকড়াও করা হয়েছিল আজমল কাসভকে। ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়।