তুলতে গিয়েছিলেন 'লাংড়ি'র ছবি
কিন্তু, লেন্সবন্দি হল লাঙ্গুর বা হনুমান
তাও আবার একটি গাছের পেটে
এই অনন্য ছবিটির পিছনের কাহিনিটিও দারুণ আকর্ষণীয়
গাছের পেটে একটা হনুমান। এক বিরল মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করলেন ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার আমান উইলসন। সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম পেজে এমনই একটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। দেখা যাচ্ছে, গাছের গায়ে একটি খাঁজকাটা কোটর। আর তারমধ্যে হনুমানটি লেজ ঝুলিয়ে এমন করে বসে রয়েছে, যে দেখে মনে হচ্ছে যেন তার জন্য়েই ওই কোটরটা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু, কিকরে এই অসাধারণ ছবিটি তুললেন তিনি? ছবিটির পিছনের গল্পটিও ছবিটির থেকে কম আকর্ষণীয় নয়।
আমান জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের তুরিয়া-য় পেঞ্চ জাতীয় উদ্যানে এই ছবিটি তুলেছেন। তবে হমুমানের ছবি তুলতে যাননি তিনি। গিয়েছিলেন 'লাংড়ি' নামে এক বাঘিনীর খোঁজ করতে। বাঘিনীটির পায়ে সমস্যা আছে। তাই সে একটু খুঁড়িয়ে হাঁটে। সেই থেকেই তার নাম হয়েছে লাংড়ি।
আরও পড়ুন - ২৫ বছর পর্যন্ত কমে যাচ্ছে বয়স, যুগান্তকারী আবিষ্কার ইজরাইলি বিজ্ঞানী-গবেষকদের
আরো পড়ুন - 'অন্যদের ছেড়ে মোদীকে আনুন', এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ওয়াইসি
আরও পড়ুন - কারা ডাকল ধর্মঘট, বন্ধ থাকবে কোন কোন পরিষেবা, ধর্মঘটিদের দাবি কী কী - জেনে নিন সব কিছু
আমান জানিয়েছেন জঙ্গলের মধ্যে একটি মোড় ঘুরতেই তিনি দেখেছিলেন সেখানে প্রচুর জিপ দাঁড়িয়ে রয়েছে। পর্যটকদের ভিড়ের কারণ আর কেউ নয়, সেই লাংড়ি। আমান জানতে পারেন, বাঘটি একবার মাত্র দর্শন দিয়ে সেখান থেকে সরে গিয়েছে। অল্পের জন্য তিনি তাঁর দেখা পাননি। এতবড় সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল আমানের।
এরপর আস্তে আস্তে পর্যটকদের জিপগুলি সরে গেলেও, আমান ওই এলাকাতেই থেকে গিয়েছিলেন। লাংড়ির জন্যই অপেক্ষা করছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বন্যপ্রাণীদের ছবি তুলতে তুলতে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করাটা তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু লাংড়ির বদলে দেখা দিয়েছিল একদল লাঙ্গুর বা হনুমান। গাছে দোল খেয়ে, ঝাঁপ মেরে খেলা করছিল তারা। হছাৎ সেই দল থেকেই একটি হনুমান ঝাঁপ মেরে চলে যায় অন্য একটি গাছে।
এটিই ছিল ছবির কোটরওয়ালা গাছটি। মাঝখানে অদ্ভূত খাঁজ করে কাটা। হনুমানটি গাছের কোটরটিতে এমনভাবে গিয়ে বসেছিল, যেন জিগস পাজলের টুকরো। সেখানে সে আরাম করে বসতেই, লাংড়ির ছবি তোলার ইচ্ছে ছেড়ে আমান মন দিয়েছিলেন ওই হনুমানটির ছবি তোলায়। আমান জানিয়েছেন ছবিটি তোলার জন্য আলো ছিল একেবারে নিখুঁত। এভাবেই তৈরি হয়েছিল এই অনন্য ছবিটি।