ফের এইমস-এর আবাসিক চিকিৎসকদের হুমকির সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন এইমস-এর আবাসিক চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, এই বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রী। নচেৎ সমস্ত এইমস-এ অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকা হবে। এইমস-এর আবাসিক চিকিৎসকরা কেউ কাজ করবেন না। যদিও, এই হুঁশিয়ারি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার দিল্লি এইমস-এ এনআরএসকাণ্ডের জেরে প্রতিবাদ জানান জুনিয়র ডাক্তাররা। হাতে-মাথায়-পা-এ নকল ব্যান্ডেজ বেঁধে এবং হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাঁরা এনআরএসকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। গত দেড় বছরে যে ভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের অন্দরেই চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন তা নিয়ে সরব হন এইমস-এর আবাসিক চিকিৎসকরা। অনেকে আবার মাথায় হেলমেট পরে রোগী দেখে প্রতীকি প্রতিবাদ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাষাতে এসএসকেএম-এ গিয়ে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে বিষেদগার প্রকাশ করেন তাতেও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এইমস-এর আবাসিক চিকিৎসকরা। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির তীব্র সমালোচনা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন আন্দোলন তুলে নেওয়ার জন্য ৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন। নচেৎ আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা এতেই চটে যান।
আরও পড়ুন-ডাক্তাররা নিজেদের দাবিতে অনড়! মমতা এই শর্তগুলি পূরণ করলেই কাজ শুরু করবেন তাঁরা
শুক্রবার দিল্লি এইমস ও বেশকিছু প্রিমিয়র স্বাস্থ্য় প্রতিষ্ঠানে বহিরবিভাগ বন্ধ করে প্রতিবাদ জানান আবাসিক চিকিৎসকরা। কেউ কেউ রোগী দেখলেও মাথায় হেলমেট পরে প্রতীকি প্রতিবাদ করেন। সোমবার দেশজুড়ে চিকিৎসাক্ষেত্রে সাধারণ ধর্মঘটেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। এনআরএস কাণ্ডের জের এতটাই তীব্র যে তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল আকার ধারন করেছে যে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি দীর্ঘ চিঠি দেন। অহংকার ভুলে তিনি যেন জুনিয়র ডাক্তারদের পরিস্থিতিটা বিবেচনা করেন এবং দ্রুত এর সমাধান সূত্র বের করার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে শাসানি! অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে