এনআরএস কান্ডের জোয়ারে দেশজুড়ে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, সঙ্গে প্রতিবাদ মিছিল

  • এনআরএস কান্ডের জোয়ারে ভেসে গেল গোটা দেশ
  • এনআরএস কান্ডের জোয়ারে দেশজুড়ে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
  • দফায় দফায় চলছে প্রতিবাদ মিছিল
  • কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতেই সরব চিকিৎসকরা

Indrani Mukherjee | Published : Jun 14, 2019 10:25 AM IST / Updated: Jun 14 2019, 03:56 PM IST

পশ্চিমবঙ্গে এনআরএস কান্ডের জোয়ারে ভেসে গেল গোটা দেশ। এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের জেরে কার্যত গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। সারা দেশে দফায় দফায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জন্য চলছে মিছিল। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে কার্যত প্রশ্নের মুখে চিকিৎসা ব্যবস্থা। তাঁদের একটাই দাবি কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। 

শুক্রবার থেকে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষের বেশি চিকিৎসক কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন। দিল্লি, বেঙ্গালরু, পাটনা, হায়দরাবাদ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা- সহ বিভিন্ন জায়গায় কার্যত থমকে গিয়েছে চিকিৎসা পরিষেবা। চিকিৎসা ব্যবস্থায় এমন অচলাবস্থার জেরে কার্যত হাহাকার দেখা দিয়েছে রোগীর পরিবারে। বেঙ্গালরুতে এদিন চিকিৎসকদের একটা দল রাস্তায় নেমেছিলেন হোর্ডিং-হাতে যাতে লেখা 'চিকিৎসকরা মানুষ, জঙ্গি নয়'। 

 

 

গতকাল দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর চিকিৎসকরা মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে, হেলমেট পরে প্রতীকী প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। সেদিন চিকিৎসা ব্যবস্থা খানিকটা চালু থাকলেও শুক্রবার হাসপাতালের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ থাকার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। দেশের সব মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এইরকমই প্রতীকী কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল এইমস-এর রেসিডেন্ট ডক্টর‌্স অ্যাসোসিয়েশন। এদিন অর্থাৎ শুক্রবার কার্যত যেন থমকে গিয়েছে গোটা চিকিৎসা ব্যবস্থা। 

 

এর পাশাপাশি মহারাষ্ট্র অ্যাসোসিয়েশন অব রেসিডেন্ট ডক্টরস-এর পক্ষ থেকেও এক দিনের কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালগুলির আউটডোর-সহ বেশিরভাগ পরিষেবা কার্যত বন্ধ থাকলেও জরুরী বিভাগ খোলা রাখা হয়েছে বলে দাবি সংগঠনের। সেইসঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার চিকিৎসকরাও সামিল হয়েছেন এই কর্মবিরতিতে। এক কথায়, বলা চলে দেশ জুড়ে চিকিৎসাক্ষেত্রে অচলাবস্থা যে কোন পর্যায়ে যেতে পারে তার এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে দিল এনআরএস কান্ড। 

Share this article
click me!