মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলাই কুলগামে পাঁচ বাঙালি শ্রমিককে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। তারপরদিন উপত্যকার আবহাওয়া একেবারে থমথমে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা কাশ্মীর উপত্যকা। দোকান-বাজার সব বন্ধ। রাস্তাঘাটে লোক চলাচল খুবই কম। এক কথায় স্বাভাবিক জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ক্রমে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল উপত্যকা। ৮৭তম দিনে এসে ছবিটা আচমকা অনেকটা পাল্টে গেল। ফের উপত্যকায় শুদুই শোনা যাচ্ছে নিরাপত্তাকর্মীদের ভারি বুটের শব্দ।
মঙ্গলবার শুধু কুলগামে নয়, জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকাতেই নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। পুলওয়ামাতেই এক পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসবাদীরা।
আরো পড়ুন - এবার জঙ্গিদের নিশানায় বাঙালি, কাশ্মীরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মুর্শিদাবাদের ৫ শ্রমিক
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শহরাঞ্চল ও শহরতলীর বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে নিরাপত্তাকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে ফ্লাইং স্কোয়াডও। নিরাপত্তার কারণে আচমকা বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। ইদানিংকালে অ-কাশ্মীরিদের নিশানা করছে জঙ্গিরা। সেই কারণে তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখতে দেশবিরোধী যে কোনও কাজের চেষ্টা ব্যর্থ করতে সতর্ক রয়েছে সেনা ও জম্মু কাশ্মীর পুলিশ।
আরও পড়ুন - ফেরার সুযোগ পেলেন না কামিরুদ্দিনরা, হত্যালীলায় বাকরুদ্ধ সাগরদিঘির ব্রাহ্মণী গ্রাম
তবে এই নিরাপত্তার বেড়াজালে স্তব্ধ জনজীবন। উপত্যকার প্রায় সব বাজারই বন্ধ রয়েছে। পাবলিক বাস, ট্যাক্সিরও দেখা নেই রাস্তায়। রাস্তার ধারের দোকানদাররাও এদিন পসরা সাজাননি। তবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ডের পরীক্ষা সময়মতোই চলছে।
আরও পড়ুন - কাশ্মীরের হত্যাকাণ্ডে স্তম্ভিত মমতা, পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
একে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলের সফর, তার উপর আগামী দুই দিনে জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখ উপত্যকার সরকারিভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চে পরিণত হওয়া - এই দুই ঘটনাকে সামনে রেখেই অতি সক্রিয় হচ্ছে জঙ্গিরা এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এদিনও কুপওয়ারা জেলায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। পাক গোলার আঘাতে এক নাগরিক ও নিহত ও আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।