মঙ্গলবারও বদল নেই শহরের জলচিত্রে, জলমগ্ন বেঙ্গালুরুর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা

 ৫ সেপ্টেম্বর থেকেই নাগারে বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় কর্ণাটক সহ দক্ষিণের একাধিক রাজ্যে। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয় বেঙ্গালুরুতে। টানা বৃষ্টির জেরে শহরের নানা স্থানে জল জমায় প্রবল যানজটের তৈরি হয় শহরে। কার্যত থমকে যায় জনজীবন। অফিস- স্কুলে যাতায়াতের জন্য রাস্তায় নৌকো বা ট্রাক্টর নামাতে হয়।
 

Ishanee Dhar | Published : Sep 6, 2022 7:10 AM IST

ক্রমশ আরও ভয়াবহ হচ্ছে বেঙ্গালুরুর পরিস্থিতি। মঙ্গলবারও জলমগ্ন শহরের বেশিরভাগ রাস্তাঘাট। বড় রাস্তায়ও জল জমার কারণে বিপর্যস্ত যান চলাচল। স্কুল বা কর্মক্ষেত্রে পৌঁছতে মানুষের ভরসা এখন ট্রাক্টর বা নৌকো। বিপর্যস্ত শহরের জনজীবন। গতকাল থেকেই ভারী বৃষ্টির জেরে প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল শহরে। মঙ্গলবার সকালেও পরিস্থিতির বিশেষ বদল ঘটল না। আজ ও শহর দেখা গেল একই দৃশ্য। 
৫ সেপ্টেম্বর থেকেই নাগারে বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় কর্ণাটক সহ দক্ষিণের একাধিক রাজ্যে। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয় বেঙ্গালুরুতে। টানা বৃষ্টির জেরে শহরের নানা স্থানে জল জমায় প্রবল যানজটের তৈরি হয় শহরে। কার্যত থমকে যায় জনজীবন। অফিস- স্কুলে যাতায়াতের জন্য রাস্তায় নৌকো বা ট্রাক্টর নামাতে হয়। সোমবার শহরের বিভিন্ন অংশে বিক্ষিপ্তভাবে একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবারও কোন বদল দেখা গেল না শহরের জলচিত্রে। বরং স্থানীয়দের মতে গতকাল রাতে ফের বৃষ্টি নামায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বড় রাস্তায় জল জমে থাকায় কার্যত বন্ধ যান চলাচল। এই দিনও সকাল থেকেই নৌকো বা ট্রাক্টরে করে অফিস-স্কুলে যেতে দেখা যাচ্ছে শহরবাসীকে। 
সংবাদমাধ্যমকে এক স্কুল পড়ুয়া জানান,"কাল থেকে আমাদের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে, তাই আমাদের স্কুলে আসতেই হবে। আজও রাস্তায় জল জমে থাকায় ট্রাক্টরে করে স্কুলে আসতে হয়েছে।" 
গোটা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে স্থানীয় এক ব্যাক্তি বলেছেন, "শহরে এতটুকু জল নামেনি কোথাও। বরং কাল রাতে ফের বৃষ্টি নামায় বেশ কিছু জায়গায় জল বেরেছে বলেই মনে হচ্ছে। বাচ্চাদের, চাকুরিজীবীদের নৌকো, ট্রাক্টরে করে অফিস বা স্কুলে যেতে হচ্ছে। সরকারের কাছে অনুরোধ যত তারাতারি সম্ভব পরিস্থিতি সস্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করুন।" 
ইতিমধ্যে বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছে। কিছুক্ষেত্রে কয়েকদিনের জন্য অনলাইন ক্লাসও চালু করা হয়েছে। অনেক অফিসেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুনপ্রবল বৃষ্টি বদলে দিল বেঙ্গালুরুর জীবন, অফিস হোক বা এয়ারপোর্ট একমাত্র ভরসা ট্রাক্টরই 


মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই গতকাল মন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে জানান বেঙ্গালুরুর বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপাতত ৩০০ কোটি টাকা দেবে সরকার। 
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, বেঙ্গালুরু শহরের কিছু এলাকায় ১ থেকে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের চেয়ে ১৫০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে৷ মহাদেবপুরা, বোমামানহাল্লি এবং কেআর পুরমে ৩৭০ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে৷ তিনি আরও বলেন,"গত ৪২ বছরের মধ্যে এটাই ছিল সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। বেঙ্গালুরুতে মোট ১৬৪ টি ট্যাঙ্ক কানায় কানায় ভরা।"

আরও পড়ুনপ্রবল বৃষ্টিতে বানভাসী কেরল, তেলঙ্গানা,অন্ধ্রপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্য, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বন্ধ যান চলাচল

Share this article
click me!