চিন-ভারত সীমান্ত সংঘর্ষের আবহেই গত শুক্রবার সকলকে অবাক করে দিয়ে লাদাখে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর এই সফররে কথা আগে থেকে কিছুই জানা যায়নি। সীমান্ত যখন উত্তেজনা বাড়ছে তখন লাদাখে কর্তব্যরত জওয়ানদের মনোবল বাড়াতেই প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বলে কেন্দ্রের তরফে প্রচার করা হতে থাকে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর এই লাদাখ সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় রাহুল গান্ধী সহ একাধিক কংগ্রেস নেতাকে। এবার কংগ্রেসকে রীতিমত চাপে ফেলে দিল মহারাষ্ট্রে তাদের জোটসঙ্গী এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার।
এক সাক্ষাফকারে এনসিপি প্রধান জানান, লাদাখ সীমান্তে চিন ও ভারতীয় সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে তিনি অবাক হননি। কারণ ১০৬২ সালে যখন চিনের কাছে ভারত পরাস্ত হয়েছিল সেইসময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেপুও লাদাখে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী যশোবন্ত চৌহান। সীমান্ত জওয়ানদের মনোবল বাড়াতেই ছিল নেহেরুর সেই সফর। এক্ষেত্রে মোদীর সফরও তাই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: গালওয়ানে তাঁবু গুটিয়ে ফেলল লালফৌজ, উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল অস্থায়ী শিবির ভাঙার ছবিও
শহর পাওয়ারের কথায় যখন চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সমস্যা চলছে এই সময় দেশের নেতাদের উচিত জওয়ানদের মনোবল বৃদ্ধি করা। এদিকে লাদাখ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে রোজই প্রায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করছে কংগ্রেস। এই অবস্থায় জোটসঙ্গীর ঠিক উল্টোপথে এনসিপি প্রধানের হাঁটা তাই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: চিনকে হাইভোল্টেজ ঝটকা, ৯০০ কোটির চুক্তি বাতিল করে দিল হিরো সাইকেল
লাদাখের গালওয়ানে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনার ঢুকে পড়া নিয়ে শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা কেন্দ্রীয় সরকারকেই তোপ দেগে চলেছে কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা লাদাখে চিনা আগ্রাসনকে কেন্দ্রের ব্যর্থতা বলে অভিযোগ করে আসছেন। এমনকী এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকারও কড়া সমালোচনা করছেন রাহুল গান্ধী। এই পরিস্থিতিতে আগেও কেন্দ্রের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় শরদ পাওয়ারকে। পাওয়ার বলেন, “গালওয়ান উপত্যকায় যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য এক্ষুণি সরকারকে কাঠগড়ায় তোলা যায় না। এও বলা যায় না টহলরত সেনাদের উপর অতর্কিতে হামলা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ব্যর্থতা।”