Shershaah:"বিক্রম সর্বদা মাতৃভূমির সেবার জন্যই উদগ্রীব ছিল " জানালেন ভাই বিশাল বাত্রা

ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার ৪৭তম জন্মবার্ষিকী। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার বায়োপিক 'শেরশাহ।' দর্শক মনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বিক্রম বাত্রার জীবনী। জন্মদিনে বিক্রম বাত্রার জীবনের অজানা কাহিনী। 
 

Riya Dey | Published : Sep 9, 2021 8:40 AM IST / Updated: Sep 09 2021, 04:08 PM IST

৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আমাজন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছে কার্গিল হিরো বিক্রম বাত্রার বায়োপিক 'শেরশাহ।' ছবিতে বিক্রম বাত্রার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা এবং ক্যাপ্টেন বিক্রমের বাগদত্তা ডিম্পল চিমার চরিত্রে অভিনয় করেছেন কিয়ারা আডবাণী। মুক্তির প্রথম দিন থেকেই ছবিটিকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন দর্শক। শেরশাহর আইএমডিবি রেটিং ৮.৮ যার ফলে ছবিটি ভারতের স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে সর্বাধিক দেখা চলচ্চিত্র হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বিক্রম বাত্রাকে চিনলেও হিমালয়ের বিক্রমের ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদানের ইতিহাসতা অনেকেরই অজানা।  

আরও পড়ুন- Visva Bharati University: উপাচার্যের তীব্র সমালোচনা ছাত্র পরিষদের, আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা

বিক্রম বাত্রার ভাই বিশাল বাত্রা ২০১৭ সালে টেডটক ভিডিওতে জানান কখন বিক্রম বাত্রা নিয়েছিলেন যে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করবেন। ভিডিওতে বিশাল তাঁদের শৈশবের মুহূর্তের কথা শেয়ার করেছেন এবং জানিয়েছেন কীভাবে তাঁর ভাই সর্বদা দেশসেবা করার জন্য উদগ্রীব ছিলেন। তিনি জানান "১৯৮৭ সালে যখন একটি রঙিন টেলিভিশনের মালিক হওয়া সাধারণ ছিল না তবে তাঁদের বাড়িতে তখন রঙিন টিভি তো দূর তার বাড়িতে এমনকি একটি কালো এবং সাদা টিভিও ছিল না। বিশাল বলেন "প্রতি রবিবার সকাল ৯:৩০-এ আমি এবং বিক্রম আমাদের এক প্রতিবেশীর বাড়ি যেতাম তৎকালীন জনপ্রিয় টিভি শো - পরমবীর চক্র দেখতে। অনুষ্ঠানটির বিষয়বস্তু ছিল ভারতীয় শাহিদদের জীবনকাহিনি উপর নির্ভর করে যারা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এবং ১৯৪৭ সালের পরে সালের পরে পিভিসি পেয়েছিলেন। সেই মুহূর্ত থেকেই বিক্রম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তিনি যদি জীবনে কিছু করতে চান, তাহলে তা হবে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদান করা এবং মাতৃভূমির সেবা করা।"

আরও পড়ুন- NDAতে মহিলাদের অন্তর্ভুতি, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ শীর্ষ আদালতের

বিশাল আরও জানান "বিক্রম বাত্রা মাত্র ১৯ বছর বয়সে চন্ডিগড়ের ডিএভি কলেজে ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরে যোগদান করেছিলেন যা ছিল বিক্রমের স্বপ্নপূরণের প্রথম পদক্ষেপ। শুধু তাই নয় বিক্রম বাত্রা পরপর দুই বছর সেরা ক্যাডেট হিসেবে ভূষিত হন। এরপর শীঘ্রই বিক্রম ভারতীয় মিলিটারি একাডেমিতে যোগদান করেন তারপর? তারপর বাকিটা ইতিহাস।" বিশাল বলেন আজ ও বিক্রমের কমান্ডো ট্রেনিং কোর্সের পরের ক্ষতগুলো মনে পড়লে আমার লোম খাঁড়া হয়ে যায় যেগুলো বিক্রমের কাছে ছিল একজন শক্তিশালী অধিনায়ক হয়ে ওঠার পথে ছোট্ট পদক্ষেপ মাত্র।"

আরও পড়ুন- Afghan crisis- ভরসা নরেন্দ্র মোদী, তালিবান মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে বৈঠকে আমেরিকা-রাশিয়া

কার্গিল যুদ্ধক্ষেত্রে শেরশাহ ছিল বিক্রম বাত্রার কোড নেম এবং যোগাযোগের জন্য তার বিজয়ের সংকেত ছিল "ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর"। তার সাহসিক জয়ের জন্য তাকে মরণোত্তর পরমবীর চক্র প্রদান করা হয়। বিশালের কথায় তাঁর ভাই বিক্রম বাত্রা ছিলেন একেবারে অনন্য। বিশাল জানান "বিক্রম বাত্রা যে অনেকের থেকেই আলাদা ছিলেন তার প্রমান হল এক হাতে জিপ চালানো এবং লক্ষ্য লক্ষ্য করা এবং অন্য হাতে তার AK47 দিয়ে শুটিং করা।"

আরও দেখুন-'ষড়ষন্ত্রর জন্যই আবার নির্বাচনে দাঁড়াতে হল', মোদী সরকার বিরোধী একাধিক মন্তব্য মমতার

Mamata Banerjee warns of party workers conspiracy over Bhabanipur By poll after Nandigram defeat RTB

Share this article
click me!