কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদানকারী সংযুক্ত মোর্চা (SKM) গোটা ঘটনা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে। নিহাং সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযুক্ত কিসান মোর্চার কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিহাং (Nihang) গোষ্ঠীর নির্বাইর খাসলা উদনা দল শুক্রবারর সিংঘু সীমান্তে (Singhu Border) দলিত (Dalit) ব্যক্তিকে হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। নিহাং সম্প্রদায়ের দাবি এই ব্যক্তি তাদের ধর্মকে অপমান করেছে। সেই জন্যই তাকে হত্যা করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আকালি নির্বাইর খাসসা -উদনা গোষ্ঠীর বলবিন্দর পান্থ বলেছেন লোকটি কিছুদিন আগেই তাদের কাছে এসেছিল। আন্দোলনকারী কৃষকদের সেবা করছিল। ধীরে ধীরে তাদের বিশ্বাসও অর্জন করেছিল। বলবিন্দর সিং আরও বলেছেন ভোর ৩টের দিকে প্রার্থনার সময় সেই লোকটি তাগের প্রবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে কাপড় সরিয়ে রেখেছিলেন। তারপরি নিহাংরা তাকে তাড়া করে। লোকটি পালিয়ে যায়। স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের কাছে নিহাংরা লোকটিকে পাকড়াও করে। লোকটির কাছে থেকে তাদের ধর্মগ্রন্থ উদ্ধার করে। তারপরই বলবিন্দর তাদের যারা অপমান করবে তাদের তারা এভাবেই শাস্তি দেবে। পুলিশের দ্বারস্থ হবে না।
Farmer Protest: দশেরার সকালে হাত-পা কাটা দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য, কৃষক আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত সিংঘু বর্ডার
Defence News: প্রতিরক্ষাখাতে বড় পদক্ষেপ, ২০০ বছরের পুরনো প্রথা ভেঙে ৭টি নতুন প্রতিরক্ষা সংস্থা
অন্যদিকে কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদানকারী সংযুক্ত মোর্চা (SKM) গোটা ঘটনা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে। নিহাং সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযুক্ত কিসান মোর্চার কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষক আন্দলোনকে কলঙ্কিত করার জন্যই এজাতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। পাশাপাশি সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফ থেকে গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। মোর্চার তরফ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে তারা কোনও ধর্মের অমপানের তীব্র বিরোধী। কিন্তু তার জন্য কোনও ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়াও সমর্থন করবে না। কৃষকদের আন্দোলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এই আন্দোলনে হিংসার কোনও স্থান নেই বলেও জানান হয়েছে।
Bangladesh: দূর্গা পুজো ঘিরে অশান্ত বাংলাদেশ, ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে কড়া বার্তা শেখ হাসিনার
পঞ্জাবের তরন তারনের চিনা খুরদ গ্রামের বাসিন্দা লখবিন্দর সিংএর দেহ উদ্ধার হয়েছিল শুক্রবার সকালে। সিংঘু সীমান্তে কৃষক আন্দোলনের মঞ্চের খুব কাছেই এই ব্যক্তির হাত ও পা কাটা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। স্থানীয়রাই পুলিশ ব্যারিকেডে ঝোলান অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকালই কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। যদিও প্রথম থেকেই গোটা ঘটনা থেকে নিজেদের দূরত্ব বজায় রাখছিল আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলি।