প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন সনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসে তাঁর যোগদান নিয়ে দলের নেতাদের মতামত নিচ্ছেন তিনি।
ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে শেষ হতে চলেছে জল্পনা। তেমনই মনে করছে কংগ্রেসের একটি সূত্র। সূত্রের খবর প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে দফায় দফায় দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তিনি। জুলাই মাসে রাহুল, সনিয়া আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তারপর থেকেই কংগ্রেসের যোগদান নিয়ে জল্পনা চলছে জাতীয় রাজনীতিতে। একটি সূত্র বলছে রাহুল গান্ধী চান প্রশান্ত কিশোর সরাসরি কংগ্রেসে যোগদান করুক।
গত উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে রাহুল আর প্রিয়াঙ্কা দুই গান্ধীই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কাজ করেছিলেন । তাই দুই ভাইবোনই এই বিষয়ে আপত্তি করেননি। কিন্তু কংগ্রেস একটি গোষ্ঠী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বলেও সূত্রের খবর। সেই দলটি বলছে ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি কোনও পার্থক্য তৈরি করতে পারবে না। তবে প্রশান্ত কিশোরকে ভোট কুশলী হিসেবে যদি নিয়োগ করা হয় তাহলে কোনও পক্ষেরই আপত্তি নেই। সূত্রের খবর কংগ্রেসের একটি গোষ্ঠী চাইছে প্রশান্ত কিশোর শুধুমাত্র বিরোধী দলকে একত্রিত করা, কংগ্রেসের জনসভাগুলিতে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া ও ভোট জয়ের পরিকল্পনার মধ্যেই নিজের কর্মবিধি সীমিত রাখুক। যদিও প্রশান্ত কিশোর বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পরেই জানিয়েছেন তিনি ভোট কুশলীর ভূমিকা থেকে অবসর নিতে চান।
কংগ্রেসের এক নেতার কথায় প্রশান্ত কিশোরের কাছে কোনও জাদুকাঠি নেই, যা দিয়ে তিনি কংগ্রেসকে উজ্জিবীত করতে পারেন। তিনি ভোট কুশলী দলের সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারবেন না। আহমেদ প্যাটেলের মৃত্যুর পর কংগ্রেসের এই জায়গাটি ফাঁকা রয়েছে। সেই জন্যই সনিয়া গান্ধী চিন্তাভাবনা করছেন বলেও সূত্রেরখবর।
যদিও আগে কংগ্রেসের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোর কাজ করেছিলেন। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা তেমন সুখের নয়। প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসের সমালোচনাও করেছিলেন। ২০১৭ সালে প্রশান্ত কিশোরও উত্তর প্রদেশে ভারডুবির হাত থেকে কংগ্রেসকে বাঁচাতে পারেননি। যদিও পঞ্জাবে তাঁর কৌশল সফল হয়েছিল। যদিও প্রশান্ত কিশোর যে কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করতে চান তা স্পষ্ট হয়েছিল মে মাসে তাঁর মন্তব্য থেকেই। সেই সময় তিনি বলেছিলেন ১০০ বছর পুরনো দলের এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে।