জামিন পেল রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার (Rajiv Gandhi Assassination Case) অন্যতম আসামি এজি পেরারিভালান (A.G. Perarivalan)। ১৯৯১ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে।
জামিন পেল রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার (Rajiv Gandhi Assassination Case) অন্যতম আসামি এজি পেরারিভালান (A.G. Perarivalan)। ১৯৯১ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে এই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী-সহ আরও ৪৩ জনকে হত্যা করার জন্য যে বেল্ট বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাটারি কেনার অভিযোগ ছিল পেরারিভালানের বিরুদ্ধে। বুধবার, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India) তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে।
১৯৯৯ সালে, এই হত্যাকাণ্ডে তার ভূমিকার জন্য, তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আদালত। ২০১৪ সালে, অবশ্য মৃত্যুদণ্ড সাজার বদলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। এরপর ২০১৬ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্টে (Madras High Court) সে সাজা কমানোর আবেদন করেছিল। কিন্তু, হাইকোর্ট সেই মামলা শুনতে অস্বীকার করায়, সে ওই বছরই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। ২০১৮ সালে, তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) তৎকালীন এআইএডিএসকে (AIADMK) সরকার রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় পেরারিভালান এবং আরও ছয়জনের জন্য অকাল মুক্তির সুপারিশ করেছিল।
আরও পড়ুন - প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাজীব গান্ধীর নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি, যার সুফল আজও ভোগ করছেন দেশবাসী
বুধবার, বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও (Justices L. Nageswara Rao) এবং বিচারপতি বিআরের গাভাই-এর (Justices B.R. Gavai) বেঞ্চ, পেরারিভালানকে জামিন দেওয়ার সময় জানান, বিশেষ ক্ষমতাবলে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল তার মুক্তির সুপারিশ করেছিলেন। পেরারিভালান ৩০ বছরেরও বেশি সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তার জামিনের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। তবে, তার জামিনে মুক্তি পাওয়ার 'অধিকার' ছিল।
তবে, তার জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে এক বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে। পেরারিভালানের জন্মস্থান জোলারপেট্টাই (Jolarpettai)। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তাকে জোলারপেট্টাই স্থানীয় পুলিশের কাছে রিপোর্ট করতে হবে। পেরারিভালান অবশ্য এখন কারাগারে নেই। সে বর্তমানে প্যারোলে জেলের বাইরেই আছে। এর আগেও সে তিনবার প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিল।
১৯৯১ সালের ২১ মে, ভারতের তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় মৃত্যু হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছিল তাঁর দেহ। আশপাশের বহু মানুষ হতাহত হয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম বা এলটিটিই-এর সদস্য থেনমোঝি রাজারত্নম ছিল প্রধান ষড়যন্ত্রকারী। তার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল, কাউন্সিল অফ খালিস্তান (NCK) গোষ্ঠীর ডক্টর জগজিৎ সিং চৌহান এবং খালিস্তান লিবারেশন ফোর্সের গুরজন্ত সিং বুধসিংহওয়ালা। তার আগে, শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে ভারতীয় শান্তি রক্ষা বাহিনী পাঠিয়ে সেই দেশের সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। তারই বদলা নিতে এই হামলা হয়েছিল।