জন্মদিনের কেক খেয়ে মৃত্যু ১০ বছরের কিশোরীর। সিন্থেটিক চিনির কারণে মৃত্যু বলে অনুমান।
পঞ্জাবে কিশোরীর মৃত্যুর পরই সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য। প্রাথমিক পরীক্ষায় অনুমান করা হচ্ছে কেক খেয়েই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। কারণ কিশোরী তার জন্মদিনে যে কেকটি খেয়েছিল তাতে প্রচুর পরিমাণে সিন্থেটিক চিনি রয়েছে। সোমবার এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। বেকারির খাবারের নমুনা সংগ্রেহ পরই এই বিষয়টিতে তারা নিশ্চিত হয়েছে বলেও জানিয়েছন।
জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক বিজয় জিন্দাল বলেছেন, বেকারি থেকে কেকের চারটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তারমধ্যে দুটিতে প্রচুর পরিমাণে স্যাকারিন পাওয়া গেছে। একটিতে ছিল প্রচুর পরিমাণে কৃত্রিম মিষ্টি। যদিও স্যাকারিন সাঝারণত চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এটিতে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক থাকে। যা থেকে পেটের সমস্যা হয়।
কেকের নমুনার রিপোর্ট প্রায় একমাস পরে এসেছে। পাটিয়ালার ১০ বছরের কিশোরী তার জন্মদিনের কেক খাওয়ার পরে কিশোরীর মৃত্যু হয়। তারপরই খাবার নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে পরিবারের সদস্যদের। তারা মনে করে খাবারে বিষক্রিয়া থেকেই মৃত্যু হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে,কিশোরী মানবি ও তার বোন জন্মদিনের রাতে অনলাইনে কেক অর্ডার করেছিল। দুজনে মিলে সেই কেক খেয়েছিল। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে মানবী। স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন। মানবী ও তাঁর বোন কেক খেয়েছিল। তবে ফরেনসিক রিপোর্ট এখনও আসেনি। তবে কেক তৈরির বেকারির অন্যান্য নমুনাগুলিতে উচ্চ মাত্রার সিন্থেটিক মিষ্টি রয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পঞ্জাব সরকার মানবীর মৃত্যুর পরেই সেই বেকারির হদিশ করে সেখানে তল্লাশি চালিয়েছিল। প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছে বেকারিতে যে নিম্নমানের খাবার তৈরি হয় তার প্রামান দিয়ে আদালতকে জানান হবে। বেকারি বন্ধ করার আবেদনও আদালতে জানান হবে। মানবীর মৃত্যুর পরই পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাতেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।