চার বোন ও বাবা-মায়ের সঙ্গে পোনামুপ্পানপাট্টি গ্রামের একটি ছোট্ট বাড়িতে বাস থাঙ্গাপাচির। পরিবারে আর্থিক অনটন লেগেই রয়েছে। কিন্তু, ঘর ছোট হলেও নিজের স্বপ্নকে ছোট হতে দেননি থাঙ্গাপাচি। পড়াশোনা করে অনেক বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন ওই ছোট্ট ঘরে শুয়েই।
ইচ্ছে (Wish) থাকে একরকম। কিন্তু, অনেক সময়ই তা সম্ভব হয় না। বিভিন্ন বাধা, প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে লক্ষ্যপূরণ করা সম্ভব হয় না অনেকেরই। ফলত পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে ইচ্ছেপূরণের আগেই বেছে নিতে হয় অন্য পথ। সেই পথ ভালো না লাগলেও মুখ বুজে তাই সহ্য করতে হয়। আর এমনটাই হয়েছে মাদুরাইয়ের (Madurai) পানামুপ্পানপাট্টি (Panamooppanpatty) গ্রামের বাসিন্দা থাঙ্গাপাচির (Thangapachi) সঙ্গেও। তাঁর পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা একেবারেই ছিল না। কিন্তু, শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিলেন তিনি। আর তার উপর ভিত্তি করেই নিট (NEET) পরীক্ষায় সফল হন। কিন্তু, টাকার অভাবে ডাক্তারি পড়তে পারেনি। এখন ইচ্ছেপূরণকে এক পাশে রেখে কৃষিকাজে মন দিয়েছেন তিনি।
চার বোন ও বাবা-মায়ের সঙ্গে পোনামুপ্পানপাট্টি গ্রামের একটি ছোট্ট বাড়িতে বাস থাঙ্গাপাচির। পরিবারে আর্থিক অনটন লেগেই রয়েছে। কিন্তু, ঘর ছোট হলেও নিজের স্বপ্নকে ছোট হতে দেননি থাঙ্গাপাচি। পড়াশোনা করে অনেক বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন ওই ছোট্ট ঘরে শুয়েই। কিন্তু, পরিবারে আর্থিক অনটন থাকায় কীভাবে সেই স্বপ্ন পূরণ করবেন তা ভেবেই পাচ্ছিলেন না তিনি। অবশেষে সরকারের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে যে সরকারি তরফে বিশেষ কিছু সুবিধা দেওয়া হয় তা একেবারেই নয়। তাই পরিবারের আর্থিক অনটনের চাপে আজ নিজের স্বপ্নকে ভুলতে বসেছেন তিনি। এখন ডাক্তারি পড়ার আশা ছেড়ে দিয়ে কৃষিকাজে মন দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে থাঙ্গাপাচি বলেন, "সরকার আমার টিউশনের টাকা দেয়। তবে ঠিক করে বসবাস করার জন্য যে টাকার প্রয়োজন তা নেই। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে কৃষি কাজে যোগ দিয়েছি।"
আরও পড়ুন- মহিলাদের 'স্যানিটারি ন্যাপকিনে' ভাগ বসালো পুরুষরাও, মিলছে অনলাইনে
তবে পরিবারের মধ্যে আর্থিক অনটন থাকলেও সেই বিষয়টি যতটা সম্ভব বুঝতে না দেওয়ার চেষ্টাই করেছিলেন থাঙ্গাপাচির বাবা। তিনি নিজেও একজন কৃষক। চেয়েছিলেন তাঁর চার মেয়ে যেন উচ্চ শিক্ষা লাভ করে। সেই জন্যই উদয়-অস্ত কাজ করতেন তিনি। মেয়েদের মধ্যে থাঙ্গাপাচি সবথেকে বড়। ২০২০ সালে বিক্রমঙ্গলম কাল্লার হাই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন তিনি। এরপর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে নিট পরীক্ষায় পাশ করেন।
আরও পড়ুন- পরপর দুবছর শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেটে কাঁচি, এবার কি বরাদ্দ বাড়াবেন নির্মলা সীতারমণ
এদিকে পরীক্ষায় পাশ করার পরও গত বছর বেসরকারি কলেজে ডাক্তারি নিয়ে ভর্তি হতে পারেননি থাঙ্গাপাচি। কারণ তা নিয়ে পড়তে গেলে খরচ অনেক। কন্যাকুমারীর মোকাম্বিকা মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, পড়াশোনার পাশাপাশি থাকা, খাওয়ার খরচও ছিল। সেই বিপুল পরিমাণ টাকা জোগার করতে পারেননি তাঁর বাবা। তাই অগত্যা সেই স্বপ্ন দেখা ভুলে এখন কৃষিকাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। সকাল থেকেই চলে যান মাঠে। সাহায্য করেন বাবাকে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- পুশ আপে বিশ্ব রেকর্ড, মোদীর গলায় মণিপুরী যুবকের প্রশংসা