এযেন কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে পড়ল কেউটে। শিশু খুনের তদন্তে নেমে এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হতে হল উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুর পুলিশকে। ৩১শে জানুয়ারি একটি একটি পুকুরের পাশে সদ্যোজাত শিশুর পচা গলা দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। নিয়মমাফিক তদন্তও শুরু করে। চলতি মাসে পুলিশ জানতে পারে স্থানীয় এক কিশোরী মা নিজের সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে কাপড়ে জড়িয়ে ছুঁড়ে ফেলেদিয়েছিল। তাতেই প্রাণ যায় শিশুটির। কিন্তু কেন এই নৃশংস খুন? কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে পড়ে আরও ভয়ঙ্কর ঘটনা।
আরও পড়ুনঃ ট্রাম্প আসার দিনই অগ্নিগর্ভ দিল্লি, প্রাণ হারালেন কনস্টেবল, জ্বলল বাড়ি-দমকলের গাড়ি
স্থানীয় একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত কিশোরী। সেখানেই সে তিরিশ বছরের এক ব্যক্তির লোভ আর লালসার শিকার হয়। কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। তাতেই গর্ভাবতী হয়ে পড়ে কিশোরী। নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের বিষয় ওই বাড়ির সদস্যদের জানানো হলে তারা মুখ বন্ধ রাখার জন্য হুমকি দিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় বেশ কয়েক মাস ধরেই নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল কিশোরী। সেই সময় সে গর্ভাবতীও ছিল। কিন্তু কিশোরী যে এমন কাণ্ড বাধাবে তা কল্পনারও অতীত ছিল স্থানীয়দের।
আরও পড়ুনঃবেসবলের দেশ থেকে এসে মোতেরায় ছক্কা হাকালেন ট্রাম্প, নিলেন সচিন-বিরাটের নাম
পুলিশ সূত্রের খবর জেরায় সদ্যোজাত সন্তানকে খুনের কথা কবুল করেছে কিশোরী মা। খুনের ঘটনায় হাত হয়েছে কিশোরীর মায়েরও। যে মহিলা সম্পর্কে নিহত শিশুর দিদিমা। ইতিমধ্যেই কিশোরী ও তার মাকে আদালতে পেশ করে পুলিশ। কিশোরীকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার মাকে পাঠান হয়েছে জেলা সংশোধনাগারে।
আরও পড়ুনঃ ক্লাসিক ছবি 'ডিডিএলজে', বলিউডের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প
তবে এখানেই হাল ছাড়তে রাজি নয় উত্তর প্রদেশ পুলিশ। সূত্রের খবর ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির খোঁজে চলছে তল্লাশি। পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পরই বাকিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে পরিবারের অনেকের হাত রয়েছে বলেও অনুমান করছে গোরক্ষপুরের পুলিশ।