৪৬ অসম রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল বল্লভ ত্রিপাঠি শনিবার একটি ফরোয়ার্ড ক্যাম্পে দিয়েছিলেন। সেখান ছেকে ফেরার সময়ই তাঁর কনভয়কে নিশানা করে জঙ্গিরা।
মণিপুরের (Manipur) আবারও সক্রিয় হচ্ছে সন্ত্রাসবাদী (Terror Attack) গোষ্ঠীগুলি। শনিবার সকালে জঙ্গি হামলায় নিহত হল অসম রাইফেলসের (Assam Rifles) এক কমান্ডিং অফিসার। তাঁর সঙ্গি জঙ্গিদেক নিশানায় ছিল তাঁর স্ত্রী, পুত্র। এছাড়াও তিন ভারতীয় সেনা জওয়ান ও একজন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়। মণিপুরের মায়ানমার সীমান্তের কাছে মণিপুরের চুরাচাঁদ জেলায় সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরই গোটা এলাকায় ঘিরে ফেলে নিরাপত্তাবাহিনী। শুরু হয় তল্লাশি। সাম্প্রতিককালে মণিপুরে এটাই সবথেকে বড় জঙ্গি হামলা।
৪৬ অসম রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল বল্লভ ত্রিপাঠি শনিবার একটি ফরোয়ার্ড ক্যাম্পে দিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার সময়ই তাঁর কনভয়কে নিশানা করে জঙ্গিরা। অতর্কিতে হামলায় চালায়। সূত্রের খবর জঙ্গরা সেনা আধিকারিকের গাড়ি ও কনভয় রক্ষা করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। তবে সেনা কর্মীদের আক্রমণ প্রতিহত করার সময় দেওয়া হয়নি। চুরাদাঁদপুর জেলারই সদর শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত গ্রামে সেনা আধিকারিকের কনভয়কে টার্গেট করে জঙ্গিরা।
Marriage Registration: ৪০ বছর আগে সাতপাকে বাঁধা, কিন্তু বিয়ে নিবন্ধন করাতে গিয়ে কালঘাম ছুটল দম্পতির
এখনও পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন। তবে প্রশাসনের অনুমান হামলার পিছনে হাত রয়েছে মণিপুরের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পিপিলস লিবারেশন আর্মি, বা পিএলএ-এর। মণিপুরের মখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন জঙ্গিদের হামলার কমান্ডিং সেনা আধিকারিক ও তাঁর পরিবারসহ সেনা জওয়ানদের মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও শান্তির আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায় সেনা কনভয়ের ওপর এজাতীয় হামলা কাপুরুষোচিত হামলা। রাজ্যের আধা সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যেই জঙ্গিদের তল্লাশি শুরু করেছে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।
Pentagon Report: ধীর গতিতে চিনা আগ্রাসন ভারতীয় সীমান্তে, পেন্টাগনের রিপোর্ট নিয়ে মুখ খুলল দিল্লি
এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাজনাথ সিং-এর কথায় এটি কাপুরুষোচিত হামলা। নিহত সেনা জওয়ান ও সেনা আধিকারিকদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।তিনিও দোষীদের বিচার ও শান্তির আশ্বাস দিয়েছেন।
মণিপুরে আগামী বছর নির্বাচন। রাজ্যের শান্তি ও শৃঙ্খলা নষ্ট করতে ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করতে জঙ্গিরা রীতিমত তৎপর হচ্ছ। এই অবস্থায় দিন কয়েক আগেই মণিপুর-মায়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকা মারে-তে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর বিস্ফোরক। ২৫০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল সেনা জওয়ানরা। সেগুলি সীমান্তবর্তী একটি জঙ্গলে পাতার আড়ালে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।