কার রাস্তায় হাঁটছে আর কারা রাস্তায় হাঁটছে না। -- এটা পর্যবেক্ষণ করা কখনই এই আদালতের পক্ষে সম্ভব নয়। অভিবাসী শ্রমিকদের চরম দুর্দশা নিয়ে দায়ের হওয়া একটি মামলায় এমনই মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের। পাশাপাশি আবেদনটি প্রত্যাক্ষাণ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে অভিবাসী শ্রমিকদের খাবার ও জল সরবরাহ করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আগেই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
অভিবাসী শ্রমিকদের বিষয়ে রাজ্যগুলিকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন। কেন সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে শুনবে অথবা সিদ্ধান্ত নেবে? সেই আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট এমন প্রশ্নও তুলেছে।
অলোক শ্রীবাস্তব নামের এক আইনজীবী, যেসব অভিবাসীরা রাস্তায় হাঁটছে তাঁদের জন্য খাবর আর পানীয় ব্যবস্থার করার আবেদন জানিয়ে মামল দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। পাশাপাশি ওই আইনজীবী মহারাষ্ট্রের রেল দুর্ঘটনার প্রশঙ্গও উত্থাপন করেছিলেন তাঁদের আবেদন পত্রে। সেখানে তিনি বলেছিলেন, রেল লাইন দিয়ে যাওয়ার সময় পথ শ্রমে ক্লান্ত হয়ে ১৬ প্রবাসী শ্রমিক সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। মালগাড়ির চাকা তাঁদের পিষে দিয়ে চলে যায়।
তারই উত্তরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে একটা রাজ্যগুলিকেই স্থির করতে হবে কেন মানুষ এখনও হাঁটছে। কেন তাদের থামান যাচ্ছে না। আমরা কী করে তাঁদের থামাব? এই প্রশ্নও তুলেছে শীর্ষ আদালত। সংবাদ পত্রে প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। পাশাপাশি এল নাগেশ্বর রাও-এর বিচারাধীন বেঞ্চ বলেছে, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ওপর কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। রাষ্ট্রই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করবে।পাশাপাশি আদালতের মন্তব্য কেউ যখন রেল লাইনের ওপর ঘুমিয়ে থাকে তখন তাকে কী করে আটকানো যাবে। আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলা হয় তাঁকে বিশেষ পাস দেওয়া হলে তিনি কী সরকারের আদেব বাস্তবায়িত করতে পারবেন?
আরও পড়ুনঃকরোনা সংক্রমণ নিয়ে আরও ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, এবার চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ইঙ্গিত ...
অন্যদিকে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেটা বলেছেন অভিবাসী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকার পরিবহনের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু অনেকেই অপেক্ষা করতে রাজি হচ্ছে না। তাঁরাই বেরিয়ে পড়েছেন রাজপথে।
লকডাউনের কারণে অনেক অভিবাসীই কাজ হারিয়ে থাকার জায়গা হারিয়ে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন। এই অবস্থায় তাঁরা হেঁটেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যগুলিকে অভিবাসীদের খাওয়ার ও থাকার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিল। পাশাপাশি শ্রমিকদের বাড়ি পাঠাতে বিশেষ ট্রেনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে অভিবাসী শ্রমিকদের মিছিল ক্রমশই লম্বা হচ্ছে।