জম্মু কাশ্মীরে আচমকা তুষার ধস, বরফ চাপা পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু তিন জওয়ানের

পুলিশ জানায়, মাচিল সেক্টরে মোতায়েন তিন সেনা সদস্য তুষারধসে বরফের নিচে চাপা পড়েন। যখন তাঁদের বের করে আনা হয়, ততক্ষণে তাঁরা প্রাণ হারিয়েছে।

Web Desk - ANB | Published : Nov 18, 2022 8:20 PM IST

শুক্রবার উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার মাচিল সেক্টরে তুষারধসে তিন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে। এসএসপি কুপওয়ারা বলেছেন যে মাছিল সেক্টরে কর্তব্যরত অবস্থায় ৫৬ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের তিনজন সেনা সদস্য তুষারধসের নিচে পড়ে মারা যান। তিনি আরও বলেন, সব দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মাচিল সেক্টরে মোতায়েন তিন সেনা সদস্য তুষারধসে বরফের নিচে চাপা পড়েন। যখন তাঁদের বের করে আনা হয়, ততক্ষণে তাঁরা প্রাণ হারিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জওয়ানদের পরিচয় প্রকাশ করা না হলেও পরে নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেনার তরফে জানানো হয়েছে তিনজন জওয়ানকে আলমোড়ার কাছে পোস্ট করা হয়েছিল এবং এই তুষারপাত ঘটে প্রায় ১২টা নাগাদ। এই দুর্ঘটনায় যে তিন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন তারা হলেন সৌভিক হাজরা, মুকেশ কুমার এবং গায়কওয়াদ মনোজ লক্ষ্মণ রাও। মৃতদেহগুলিকে ১৬৮ এমএইচ ড্রাগমুল্লায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

এই ঘটনা নিশ্চিত করে, কুপওয়ারা জেলার এসএসপি যুগল মানহাস বলেছেন, "এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সেনাবাহিনীর ৫৬ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের (আরআর) তিনজন জওয়ানকে কর্তব্যরত অবস্থায় মাচিল এলাকায় তুষারধসের কবলে পড়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল।"

সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই তুষারধসে আটকে পড়া দুই সেনাকে উদ্ধার করে কুপওয়ারার সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। একই সময়ে কর্তব্যরত অন্য এক সৈনিকেরও হাইপোথার্মিয়া হয়। তিনজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পরও তিনজনের প্রাণ বাঁচানো যায়নি।

সম্প্রতি, জম্মু ও কাশ্মীরের নারওয়াল বাইপাসে একটি দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় ২৭ বছর বয়সী স্পেশাল পুলিশ অফিসার (এসপিও)ও নিহত হন। বাগ-ই-বাহু থানার ইনচার্জ সিকান্দার সিং চৌহান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় ট্রাক চালকও আহত হয়েছেন। তিনি তার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং তার ট্রাকটি পার্ক করা আরেকটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা দেয়।

বিষ্ণার বাসিন্দা এসপিও রজত চৌধুরী, বাইপাসের বন চেকপোস্টের কাছে যানবাহন চেকিং পুলিশের দলের অংশ ছিলেন। এ সময় দ্রুতগামী একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। কর্মকর্তা বলেন যে তার সহকর্মীরা তাকে সরকারি মেডিকেল কলেজ (জিএমসি) হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে তিনি তার আঘাতে মারা যান।

Share this article
click me!