বদলের বাংলাদেশে এখন সবকিছু ইউনূসময়। ধীরে ধীরে পদ্মাপাড়ের দেশ থেকে মুছছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি। ভাঙচুর চালানো হচ্ছে বিশ্বকবির পৈতৃকনিবাসে। এই আবহে এবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে সরব হলেন ডায়মণ্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
DID YOU KNOW ?
'চোখের বালি' কোথায় লেখেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর?
বাংলাদেশের পৈতৃক ভিটে কাছারিবাড়িতে বসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার এই বিখ্যাত উপন্যাস লিখেছিলেন।
25
কী দাবি অভিষেকের?
এদিন সংসদের অভিবেশনে বাংলাদেশের কাছারিবাড়িতে রবীন্দ্রনাথেক বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় কী পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার তা জানতে চান বাংলার তৃণমূল সাংসদে। জানা গিয়েছে, তৃণমূল সাংসদের করা এই প্রশ্নের জবাবও দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
35
কী বললল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক>
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি ভাঙচুর ইস্যুতে অভিষেকের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি মুছে ফেলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশের এই ঘটনার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। এবং কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, গত ১১ জুন বাংলাদেশে (Bangladesh) সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলায় অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটে কাছারি বাড়িতে (Rabindra Kachari Bari) হামলা, ভাঙচুর চালানো হল। উন্মত্ত জনতা কাছারিবাড়িতে ঢুকে কাস্টডিয়ানের অফিস, অডিটোরিয়ামের জানালা, দরজা ভাঙচুর করে। বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রীর ক্ষতি হয়। সংগ্রহশালার অধিকর্তাকেও মারধর করা হয়। এই ঘটনার পর দর্শকদের জন্য কাছারি বাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
55
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটে নিয়ে অভিষেকের উদ্বেগ
১৮৪২ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে এই বাড়ি কিনে নেন রবীন্দ্রনাথের ঠাকুর্দা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ ১৮৯০ সালে প্রথমবার এই কাছারি বাড়িতে আসেন। তিনি এই বাড়িতে বসে অনেক বিখ্যাত সাহিত্য রচনা করেছেন। এই বাড়িতেই রচনা করা হয় ‘চোখের বালি’, ‘চতুরঙ্গ’, ‘ঘরে বাইরে’-র মতো বিখ্যাত উপন্যাস। এমনকী, 'গীতাঞ্জলি'-ও এই বাড়ি থেকেই রচনা শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি তৎকালীন পূর্ববঙ্গের পরিবেশ, মানুষের কথা অনেক সাহিত্যে তুলে ধরেছেন। কিন্তু অশান্তি, অরাজকতার বাংলাদেশে এখন আর শ্রদ্ধার পাত্র নন বিশ্বকবি।